E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

দুই মন্ত্রীর পদ বহাল থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট

২০১৬ সেপ্টেম্বর ০৫ ১৪:০১:২৭
দুই মন্ত্রীর পদ বহাল থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট

স্টাফ রিপোর্টার : ‘শপথ ভঙ্গের’ পরও সরকারের দুই মন্ত্রীর স্বপদে বহাল থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছেন এক আইনজীবী। একই সঙ্গে কোন কতৃত্ব বলে তারা স্বপদে বহাল আছেন তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

সোমবার দুপুরে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট করেছেন ইউনুছ আলী আকন্দ।

হাইকোর্টের বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে চলতি সপ্তাহে এই রিটের ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।

খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সংবিধান রক্ষার যে শপথ নিয়েছিলেন, যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর চূড়ান্ত রায়ের আগে সর্বোচ্চ আদালত নিয়ে মন্তব্য করে তা ভঙ্গ করেছেন- আদালতের এমন পর্যবেক্ষণ আসার পর এই রিট দায়ের করা হলো।

ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, একজন মন্ত্রী পদে থাকেন তার নেওয়া শপথের মাধ্যমে। শপথ না থাকলে মন্ত্রিত্বও থাকে না। তাই শপথ ভেঙেছেন বলে আপিল বিভাগ থেকে রায় আসার পর তারা আর পদে থাকতে পারেন না। এরপরও মন্ত্রী পদ আঁকড়ে থাকায় কোন কর্তৃত্ব বলে তারা পদে রয়েছেন- তা জানাতে চাওয়া হয়েছে।

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর চূড়ান্ত রায়ের আগে সর্বোচ্চ আদালত নিয়ে করা মন্তব্যের জন্য দুই মন্ত্রীকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছিলেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে আট সদস্যের আপিল বেঞ্চ। ১ সেপ্টেম্বর তার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়।

তারপর ২ সেপ্টেম্বর বিচার ও আদালত নিয়ে মন্তব্য করে অবমাননার দায়ে দণ্ডিত খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেলকে নোটিশ পাঠিয়েছিলেন ইউনুছ আলী আকন্দ।

১ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত রায়ে বলা হয়, সংবিধানে বর্ণিত আইনের শাসন রক্ষার যে শপথ বিবাদীরা নিয়েছেন, সেই দায়িত্বের প্রতি তারা অবহেলা করেছেন। তারা আইন লঙ্ঘন করেছেন এবং সংবিধান রক্ষা ও সংরক্ষণে তাদের শপথ ভঙ্গ করেছেন।

আদালতের রায়ে শপথ ভঙ্গ হওয়ায় দুই মন্ত্রী পদে থাকার অধিকার হারিয়েছেন বলে ইতোমধ্যে মত দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক। এ বিষয়ে মন্ত্রী কামরুল ইসলামের কোনো প্রতিক্রিয়া না পাওয়া গেলেও মোজাম্মেল হক শনিবার এক আলোচনা অনুষ্ঠানে বলেছেন, তিনি জেনে শুনে সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন।

(ওএস/এএস/সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১১ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test