E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

এমপি রানাকে কাশিমপুর কারাগারে প্রেরণ

২০১৬ সেপ্টেম্বর ১৯ ১৬:১৯:২৪
এমপি রানাকে কাশিমপুর কারাগারে প্রেরণ

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা, বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদকারী বীরমুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার আসামী টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাকে টাঙ্গাইল জেলা কারাগার থেকে গাজিপুরের কাশিমপুর কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। আজ সোমবার বেলা ৩টা দিকে তাঁকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

টাঙ্গাইল জেলা কারাগারের জেলার রিতেশ চাকমা জানান, টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে ডিভিশন প্রাপ্ত বন্দিদের সুযোগ সুবিধা কম থাকায় সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাকে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিদের্শে গাজিপুরের কাশিমপুর কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

এদিকে ফারুক আহমেদ হত্যার আসামী এমপি রানাসহ সকল আসামীদের দৃষ্টান্তমুল শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা স্থানীয় শহীদ মিনারে জমায়েত হতে থাকে। পরে দুপুরে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে কোর্ট চত্বরে এসে শেষ হয়। সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক ও নিহত ফারুক আহমেদের স্ত্রী নাহার আহমেদ, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র জামিলুর রহমান মিরণ প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা অবিলম্বে হত্যাকারী অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবী জানান। তা না হলে আরো কঠোর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে বলে ঘোষনা দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক হত্যা মামলার আসামী সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর গত রবিবার সকালে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে হাজির হয়ে জামিনের জন্য আবেদন করেন। পরে উভয় পক্ষের শুনানী শেষে আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নিদের্শ দেন।

বিগত ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে শহরের কলেজ পাড়ায় নিজ বাস ভবনের সামনে থেকে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহম্মদেও গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর নিহত ফারুর আহম্মদের স্ত্রী নাহার আহম্মেদ বাদি হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশী তদন্তে টাঙ্গাইলের প্রভাশালী খান পরিবারের চার ভাই আমানুর রহমান রানা এমপি, টাঙ্গাইল পৌরসভার তৎকালিন মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪জন আসামীর নাম বের হয়ে আসে। বর্তমানের এমপি রানাসহ ৪জন কারাগারে থাকলেও বাকীরা পলাতক রয়েছেন।

(এমএনইউ/এএস/সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

০২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test