E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

সাতক্ষীরায় হত্যা মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন

২০১৬ সেপ্টেম্বর ২৯ ১৫:৫০:৫৮
সাতক্ষীরায় হত্যা মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : এক বেকারী শ্রমিককে কুপিয়ে দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সাথে এক ব্যক্তির পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বৃহষ্পতিবার সকাল ১১টায় এক জনাকীর্ণ আদালতে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আশরাফুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। রায় প্রদানকালে সকল আসামী কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দেবনগর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম, দবির উদ্দিনের ছেলে মোতালেব ওরফে মতলেব, ফজর আলীর ছেলে রাশেদ, বাবর আলীর ছেলে নূর ইসলাম ও নজরুল ইসলাম। এ ছাড়া পাঁচ বছর সাজাপ্রাপ্ত আসামী হলেন দেবনগর গ্রামের বাবর আলীর ছেলে কামরুল ইসলাম।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৩ সালের ১১ জুলাই শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দক্ষিণ দেবনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের মাঠে ফুটবল খেলা শেষে দু’ দল গ্রামবাসির মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় দেবনগর গ্রামের আমের আলীর ছেলে বেকারী শ্রমিক আনারুল ইসলামকে (২৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনার রাতেই নিহতের মামা একই গ্রামের ইয়াছিন আলী বাদি হয়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামীসহ একই গ্রামের মোতালেবের ছেলে আবু তালেব, জালালউদ্দিনের ছেলে আশরাফ হোসেন, হাফেজ মোহাম্মদ আলীর ছেলে আলমগীর হোসেন, হাবিবুর রহমানের ছেলে আবু কেনান, আরমান হোসেনের ছেলে শওকত আলী, হযরত আলীর ছেলে মনিরুল ইসলাম ও হেকমত আলীর ছেলে মহাতাব হোসেনের নামে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সদর থানার উপপরিদর্শক গোলাম মোস্তফা ২০০৫ সালের ২৯ অক্টোবর এজাহারভুক্ত প্রথমাক্ত আটজনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলার নথি ও ১৫ জন সাক্ষীর জবানবন্দি পর্যালোচনা শেষে প্রথমাক্ত পাঁচ জনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হওয়ায় বিচারক আশরাফুল ইসলাম তাদের প্রত্যেককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে তিন মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। একই সাথে ১৪৮, ১৪৯ ও ৩২৪ ধারা মোতাবেক প্রত্যেককে দু’ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেন। একইভাবে ৩২৬ ও ৩৪৮ ধারায় কামরুলের বিরুদ্ধে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন। অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় আবু তালেব ও আশরাফ হোসেনকে বেকসুর খালাস দেন। আসামীদের পৃথক সাজা একইসাথে চলবে বলে বিচারক একই আদেশে উল্লেখ করেন।

আসামী পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাড. এসএম হায়দার আলী ও অ্যাড. শফিউল ইসলাম।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন জজ কোর্টের আতিরিক্ত পিপি অ্যাড. শেখ আব্দুস সামাদ ও সহকারি পিপি অ্যাড. রফিকুল ইসলাম।

(আরকে/এএস/সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

২৮ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test