খালেদার পরবর্তী শুনানি ২৬ ফেব্রুয়ারি

স্টাফ রিপোর্টার : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির দুই মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার বকশীবাজারের কারা অধিদপ্তরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের আদালত এ দিন ঠিক করেন।

শারীরিক অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হতে পারেননি জানিয়ে তার আইনজীবী ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার সময়ের আবেদন করেন। অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আদালতের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে তা বদলির নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন খালেদা জিয়া। যা শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে বলে সময়ের আবেদনে বলা হয়।

আর চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় সাক্ষ্য দেওয়া ৩২ সাক্ষীর পুনরায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য হাইকোর্টে একটি আবেদন করা হয়েছে, যা শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে জানিয়ে সময় চান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।

শুনানি শেষে বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী শুনানির জন্য ২৬ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেন।

এদিন অরফানেজ মামলার আসামি শরফুদ্দিন আহমেদের আইনজীবী রেজাউল করিম সরকার এ মামলার দুই সাক্ষীকে পুনরায় জেরার আবেদন করলে আদালত সেই আবেদনটিও মঞ্জুর করেন।

২০১১ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।

এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে জিয়া অরফানেজ মামলাটি দায়ের করে দুদক। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এই মামলাটি দায়ের করা হয়। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

অভিযোগপত্রে খালেদা জিয়া, তার বড় ছেলে তারেক রহমান, সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রাক্তন সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে আসামি করা হয়।

(ওএস/এএস/ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৭)