E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

অরফানেজ মামলা বদলি চেয়ে আবেদন!

২০১৭ এপ্রিল ১৩ ১১:৪১:১৯
অরফানেজ মামলা বদলি চেয়ে আবেদন!

স্টাফ রিপোর্টার : সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাটি বদলি চেয়ে আবেদন করেছেন তার আইনজীবীরা।

বৃহস্পতিবার ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদ্দারের আদালতে এই আবেদন করা হয়। আদালত তাদের আবেদনটি মঞ্জুর করে এ বিষয়ে আদেশ দাখিলের জন্য ১৮ মে তারিখ ধার্য করে।

শুনানিতে ব্যরিস্টার জমিরউদ্দীন বলেন, মামলাটি বদলি হওয়া উচিত। তাই আমরা এ বদলি চেয়ে একটি আবেদন করেছি।

এসময় দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, আইনে কোথাও নেই যে মামলা কার্যক্রম বদলি করতে হবে। তাই আপনি মামলা কার্যক্রম চালাতে পারেন।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক বলেন, আমিতো বিব্রত নই। তাই কেন আমি মামলাটি বদলি করবো। একমাত্র বিব্রত হলেই মামলাটি বদলি করা যায়।

বিচারক আরও বলেন, মামলাটি বদলি চেয়ে আপনারা আবেদন করেন। আমার মামলাটির বদলির কোনো এখতিয়ার নাই। আপনারা এ বিষয়ে ১৮ তারিখে হাইকোর্টের আদেশ নিয়ে আসবেন।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা সাত মিনিটে ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতে এসে পৌঁছান খালেদা জিয়া। এদিন ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকা মহানগরের সিনিয়র স্পেশাল জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন ধার্য আছে এবং তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদ্দারের আদালতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের অসমাপ্ত বক্তব্য দেয়ার দিন ধার্য রয়েছে।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুদক।

২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলা তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন অর রশিদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (পলাতক), হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

(ওএস/এসপি/এপ্রিল ১৩, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

২২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test