E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

খান আশরাফসহ ১৩ জনের অভিযোগ আমলে নিয়েছেন ট্র্যাইব্যুনাল

২০১৭ মে ৩১ ১৩:৪৭:৫১
খান আশরাফসহ ১৩ জনের অভিযোগ আমলে নিয়েছেন ট্র্যাইব্যুনাল

স্টাফ রিপোর্টার : একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত বাগেরহাটের খান আশরাফসহ ১৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনাল।

বুধবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাদের অভিযোগ আমলে নেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মো. মোখলেসুর রহমান বাদল ও সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি। অপরদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট গাজী এমএইচ তামিম।

প্রসিকিউটর সাবিনা ইয়াসমিন খান মু্ন্নি জাগো নিউজকে জানান, এর আগে গত ২০ এপ্রিল আদালত আজকের দিন নির্ধারণ করে দেন। ফলে আজ নির্ধারিত দিনে আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আদালত আমলে নিয়েছেন।

তিনি আরও জানান, এর আগে ২৮ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার বরাবর সাত অপরাধে ফরমাল চার্জ (আনুষ্ঠানিক অভিযোগ) প্রসিকিউশন টিম থেকে দাখিল করা হয়।

মামলায় আসামিরা হলেন

বাগেরহাটের খাঁন আশরাফ আলী (৬৫), খাঁন আকরাম হোসেন (৬০), সুলতান আলী খাঁন (৬৮), রুস্তম আলী মোল্লা (৭০), ইদ্রিস আলী মোল্লা (৬৪), মকছেদ আলী দিদার (৮৩), শেখ মো. উকিল উদ্দিন (৬২), শেখ ইদ্রিস আলী (৬১), শেখ রফিকুল ইসলাম ওরফে বাবুল (৬৪), মো. মনিরুজ্জামান হাওলাদার (৬৯), মো. হাশেম আলী শেখ (৭৯), মো. আজাহার আলী শিকদার (৬৪), মো. মকবুল মোল্লা (৭৯), মো. আব্দুল আলী মোল্লা (৬৫)।

আসামিদের মধ্যে আজহার আলী শিকদার বিএনপি সমর্থক। বাকি সবাই জামায়াত ইসলামীর সমর্থক। ২০১৬ সালের ১৬ জুলাই তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। পরে একই বছর খাঁন আকরাম হোসেন, ইদ্রিস আলী মোল্লা, শেখ মো. উকিল উদ্দিন এবং মকবুল মোল্লাকে গ্রেফতার করে ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করা হয়। এই চার আসামি কারাগারে রয়েছেন। বাকি ১০ আসামি পলাতক।

এর আগে ২০১৫ সালের ৪ জুন তদন্ত শুরু হয়ে গত ২২ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে ৫৭ জন মূল ও ৩ জন জব্দ তালিকার সাক্ষীর জবানবন্দি নিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করে তদন্ত সংস্থা। ওই দিনই আসামিদের বিরুদ্ধে ৭টি অভিযোগে ট্রাইব্যুনালের ৪৫তম তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে প্রসিকিউশনের কাছে জমা দেয়া হয়। অপরাধ তদন্ত করেন তদন্ত সংস্থার সদস্য মো. হেলাল উদ্দিন।

আসামিদের বিরুদ্ধে বাগেরহাট জেলার কচুয়া ও মোড়লগঞ্জ থানার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগে ধ্বংস করা, ধর্ষণ ও হত্যার মত ৭টি অভিযোগ আনা হয়েছে।

(ওএস/এসপি/মে ৩১, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

০৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test