E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সাংসদদের আপত্তিকর বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি

২০১৭ জুলাই ১২ ১২:৩৩:০০
সাংসদদের আপত্তিকর বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি

স্টাফ রিপোর্টার : সুপ্রিম কোর্ট, প্রধান বিচারপতি, বিচারপতি ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের নিয়ে সংসদে দেওয়া সাংসদদের আপত্তিকর বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন।

তিনি বলেন, ভাবতে হবে তারা কি দেশের প্রকৃত বন্ধু, না দেশের শত্রু, না সংবিধানের শত্রু, না গণতন্ত্রের শত্রু? এটা সংবিধানের ওপর আঘাত। বিচার বিভাগ ধ্বংসের পাঁয়তারা।’

মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে জয়নুল আবেদিন এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচিত বিএনপিপন্থী আইনজীবী নেতারা। এতে ষোড়শ সংশোধনী রায় নিয়ে বিভিন্ন মহলের প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাবেক সভাপতি ও বিএনপি নেতা খন্দকার মাহবুব হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সহসভাপতি উম্মে কুলসুম রেখা, সহসম্পাদক শামীমা সুলতানা, সদস্য হাসিবুর রহমান প্রমুখ।

গত রবিবার বিচারপতিদের অপসারণসংক্রান্ত ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে জাতীয় সংসদে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান মন্ত্রী ও সাংসদেরা। কোনো কোনো সাংসদ মন্তব্য করেন, এই রায়ের পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। আদালত সংবিধান লঙ্ঘন করে রায় দেন। তারা ওই রায় পুনর্বিবেচনার দাবিও জানান। এ মামলায় অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে বক্তব্য দিয়েছেন, এমন দুজন প্রবীণ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন ও ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলামের অবস্থানের কঠোর সমালোচনা করেন। প্রধান বিচারপতিকে নিয়েও সমালোচনা হয় সংসদে।

সংসদে যিনি উপস্থিত থাকবেন না, তাকে নিয়ে আলোচনা বা সমালোচনা করা যাবে না—এমন কথা উল্লেখ করে জয়নুল আবেদিন আরও বলেন, সরকারের একটি অঙ্গ যদি মানুষের মঙ্গল চান, দেশের মঙ্গল চান, সাংবিধানিক শাসনে বিশ্বাস করেন, তাহলে এ ধরনের বক্তব্য উপস্থাপন করতে পারেন কিনা, তা দেশবাসী বিচার করুন।

প্রধান বিচারপতি জনসম্মুখে, গণমাধ্যমের সামনে এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ করতে পারেন না। তাই আইনজীবী সমিতির দায়িত্ব বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য জনগণের মধ্যে বক্তব্য উপস্থাপন করা।’

রায় না পড়ে মন্তব্য করে অনেকে সংসদ সদস্য থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি দণ্ডবিধির শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে যে বক্তব্য রেখেছেন, তাহলে কি রায় পছন্দ না হলেই বিচারকের শাস্তির দাবি আসবে, এই কি বর্তমান গণতন্ত্রের নমুনা? বলা হয়েছে, সংসদ যদি রায় গ্রহণ না করে, তাহলে রায় কার্যকর হবে না। এমন বক্তব্য স্বৈরাচারীর আভাস। তাঁরা সংবিধানের নির্দেশনা মানেন না। রায় পরিবর্তনের জন্য বিচারকদের ভয়ভীতি ও চাপ দিচ্ছেন।’

(ওএস/এসপি/জুলাই ১২, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

০৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test