E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

এজলাস কক্ষে ভাঙচুর, ৫ আইনজীবীকে হাইকোর্টের ক্ষমা

২০১৭ জুলাই ২০ ১৩:০৬:২৩
এজলাস কক্ষে ভাঙচুর, ৫ আইনজীবীকে হাইকোর্টের ক্ষমা

স্টাফ রিপোর্টার : বেঞ্চ কর্মকর্তাকে মারধর ও আদালতের নথি তছনছ করে আদালতের কার্যক্রমে ব্যাঘাত সৃষ্টির ঘটনায় নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করায় পাঁচ আইনজীবীকে অব্যাহতি দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বেঞ্চ অফিসাররা অনৈতিকভাবে আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে জড়িত কি না তা তদন্ত করতে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার কার্যালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ সংক্রান্ত শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

আদালতে আইনজীবীদের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল ও বর্তমান সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদার প্রমুখ।

গত ১০ জুলাই আদালতের এজলাস কক্ষে ভাঙচুর, বেঞ্চ কর্মকর্তাকে মারধর ও আদালতের কার্যক্রমে ব্যাঘাত সৃষ্টির ঘটনায় নিঃশর্ত ক্ষমা চান সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ আইনজীবী।

এর আগে গত ১৯ জুন আদালতের এক আদেশে বলা হয়, ২৪ নম্বর কক্ষে (এনেক্স) আইনজীবীরা চিৎকার শুরু করেন, এতে আদালতের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়। পরে চার আইনজীবী ডায়াসে চলে এসে রফিকুল ইসলাম নামে বেঞ্চ কর্মকর্তার ওপর চড়াও হন, তার মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করেন এবং আদালতের মামলার নথিপত্র তছনছ করেন।

তাদের অজুহাত, তালিকাভুক্ত না হওয়া মোশনের (আবেদন) শুনানি হয়নি। আইনজীবী মোহাম্মদ আলীসহ অন্য আইনজীবীরা ডায়াসের পাশে দাঁড়িয়ে এসব কর্মকাণ্ডে উৎসাহ দেন। এসব অভিযোগে গত ২ জুলাই পাঁচ আইনজীবীর বিরুদ্ধে রুল জারি করে হাজিরের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পাঁচ আইনজীবী হলেন- নূরে ই আলম উজ্জ্বল, লিজেন পাটোয়ারী, সুলতান মাহমুদ, মতিলাল বেপারি ও মোহাম্মদ আলী।

পরে ২ জুলাই ওই পাঁচ আইনজীবী হাজির হলে শুনানির জন্য ১০ জুলাই দিন নির্ধারণ করেন আদালত।

(ওএস/এসপি/জুলাই ২০, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test