E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘গঠনতন্ত্র কেবল বিসিবিই সংশোধন করবে’

২০১৭ জুলাই ২৬ ১৫:১৭:৫৪
‘গঠনতন্ত্র কেবল বিসিবিই সংশোধন করবে’

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করতে পারবে না জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)- এ পর্যবেক্ষণ দিয়ে বিসিবির সংশোধিত গঠনতন্ত্র অবৈধ ঘোষণা করে দেয়া হাইকোর্টের রায়ের বিষয়ে আপিল নিষ্পত্তি করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

আইনজীবীরা জানান, আদেশ অনুযায়ী এখন থেকে বিসিবির গঠনতন্ত্র বিসিবি’ই সংশোধন করতে পারবে, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) নয়।

তবে গঠনতন্ত্র সংশোধন করার সময় ক্রিকেট যাতে বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে সেদিকে বিসিবিকে নজর রাখতে হবে। বিসিবি আধুনিক ও যোগোপযোগী করে গঠনতন্ত্র সংশোধন করতে পারবে। সেটি ইজিএম’র মাধ্যমে করতে হবে।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি শেষে বুধবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের তিন সদস্যের বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে এনএসসি’র পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক টুটুল। বিসিবির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ । রিটকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এম আমিন উদ্দিন ও ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক।

রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক বলেন, ‘আপিল নিষ্পত্তি করে আপিল বিভাগ বলেছেন, গঠনতন্ত্র সংশোধনের যে ক্ষমতা সেটি বিসিবির হাতেই থাকবে। এনএসসি সে গঠনতন্ত্র সংশোধন করে দিতে পারবে না। সুতরাং গঠনতন্ত্র সংশোধনের ক্ষমতা বিসিবির হাতেই রইল। এতে বিসিবি আরও স্বায়ত্তশাসিত হবে, সংঘবদ্ধ হবে, শক্তিশালী হবে। ক্রিকেট এবং ক্রিকেট বোর্ড দুটিই শক্তিশালী হবে। ভবিষ্যতে ক্রিকেটের উন্নতি হবে।’

তিনি বলেন, ‘আদালত আরও বলেছেন, আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বিশ্বে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করবে। এজন্য বিসিবি এবং বাংলাদেশকে এখনই প্রস্তুত হওয়া প্রয়োজন। এ কারণে বিসিবিকে শক্তিশালী করতে হবে। গঠনতন্ত্রে সংযোজন-বিয়োজন করবে কেবল বিসিবি। অন্য কেউ হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।’

২০১২ সালের নভেম্বরে বিসিবির গঠনতন্ত্রের সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন বিসিবির সাবেক পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোবাশ্বের হোসেন এবং বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের সভাপতি ইউসুফ জামিল বাবু। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ১৩ ডিসেম্বর আদালত রুল জারি করেন এবং সংশোধনীর ওপর তিন মাসের স্থগিতাদেশ দেন। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি রোববার আদালত সংশোধনী অবৈধ বলে রায় দেন।

রিটকারীদের দাবি ছিল, ‘বিসিবির গঠনতন্ত্রে ২৬ অনুচ্ছেদে বলা আছে, গঠনতন্ত্র সংশোধনের জন্য সাধারণ পরিষদের দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের অনুমোদন নিতে হবে। বিসিবি ২০১২ সালের ১ মার্চ বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম)’র মাধ্যমে গঠনতন্ত্র সংশোধন করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে পাঠায়। কিন্তু জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিসিবি সাধারণ পরিষদের সদস্যদের মতামত উপেক্ষা করে নিজেদের মনগড়া সংশোধনী আনে। যা গঠনতন্ত্রের স্পষ্ট লঙ্ঘন।’

‘জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ যেভাবে অবৈধ উপায়ে গঠনতন্ত্র সংশোধন করেছে তা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন ১৯৭৪ এর ২০ এর (ক) ধারার পরিপন্থী। ক্রীড়া পরিষদ মডেল গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করতে পারে কিন্তু বিসিবির এজিএমে অনুমোদিত গঠনতন্ত্র সংশোধনের ক্ষমতা রাখে না।’

পরে হাইকোর্টের এ রায় স্থগিত চেয়ে চেম্বার বিচারপতির কোর্টে আবেদন করে এনএসসি ও বিসিবি। এরপর চেম্বার জজ হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। একই সঙ্গে লিভ টু আপিল করতে বলেন। ২০১৩ সালের ২৫ জুলাই আদালত তাদের আপিলের অনুমতি দেন।

(ওএস/এসপি/জুলাই ২৬, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test