E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট্র মামলা : ৪ সাক্ষীকে জেরার অনুমতি

২০১৭ জুলাই ৩০ ১২:৪৬:২০
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট্র মামলা : ৪ সাক্ষীকে জেরার অনুমতি

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় চার সাক্ষীকে জেরা করার অনুমতি দিয়েছেন হাইকোর্ট। রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ আদেশ দেন।

আদালতে আজ (রবিবার) আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন এ জে মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন এবং তাদের সহযোগিতা করেন জাকির হোসেন ভুইয়া। এর আগে গত ২১ জুন (বৃহস্পতিবার) পাচঁ সাক্ষীকে জেরার কারার সুযোগ চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

চার সাক্ষী হলেন- জনতা ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মুকবুল আহমেদ, স্টান্ডার্ড চ্যাটার্ড ব্যাংকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আমিরুল ইসলাম, স্টান্ডার্ড চ্যাটার্ড ব্যাংকের কাস্টমার সার্ভিস ম্যানেজার অমলকান্তি চক্রবর্তী, দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক চৌধুরী এমএন আলম।

আইনজীবী জাকির হোসেন ভূঁইয়া জানান, এ মামলায় ৩২ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য দিয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচজনকে জেরা করা হয়নি। ওই জেরার অনুমতি চেয়ে বিচারিক আদালতে আবেদন করা হলে গত ৮ জুন ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান আবেদন খারিজ করে দেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে গত ২১ জুন হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।

তিনি আরও জানান, ৫ জনের মধ্যে একজনকে আগেই জেরা করায় আদালত একজনকে বাদ দিয়ে ৪ জনকে জেরার করার অনুমতি দিয়েছেন।

২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা দায়ের করা হয়। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ এই মামলায় খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন ঢাকা তৃতীয় বিশেষ জজ আদালত।

মামলায় মোট আসামি চারজন। খালেদা ছাড়া অভিযুক্ত অপর তিন আসামি হলেন- খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩২ জন সাক্ষী। জামিনে থাকা অন্য দুই আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলামখান আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছেন। হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন।

(ওএস/এসপি/জুলাই ৩০, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test