E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি করতে মন্ত্রীর দরকার নেই’

২০১৭ আগস্ট ০৬ ১৪:৪৮:৫৭
‘বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি করতে মন্ত্রীর দরকার নেই’

স্টাফ রিপোর্টার : নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ বিধিমালা তৈরিতে আইন মন্ত্রণালয়ের (মন্ত্রীর) দরকার নেই। সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে উচ্চ আদালতই (আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগ) এ বিধিমালা করতে পারেন।’

রবিবার আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানিকালে এমন মন্তব্য করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম।

শুনানিতে সংবিধান অনুযায়ী কেবল রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে এই বিধিমালা করতে তিনি আবেদন জানান।

মাসদার হোসেন মামলা তথা আবেদনকারীর পক্ষে রোববার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ছয় সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এই আবেদন উপস্থাপন করা হয়।

পরে ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম বলেন, ১৭ বছর আগে একই আবেদন করেছিলাম। তখন প্রধান বিচারপতি মোস্তফা কামাল রায়ে বলেছিলেন, ‘রুলস প্রণয়নে একটি আইনি বাতাবরণ থাকা দরকার। ১৭ বছর পরেও এসে আবেদন করে বলেছি, বিচারপতি মোস্তফা কামালের ওই রায়ের অংশ পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) করতে হবে। কারণ, সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ মতে বিচার বিভাগে দায়িত্ব পালনরত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা বিধান রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত থাকবে।

তিনি বলেন, এজন্য সুপ্রিম কোর্ট এই রুলস প্রণয়ন করে শুধু রাষ্ট্রপতির কাছে নিয়ে দেখিয়ে এলেই হয়। এখানে মন্ত্রী বা মন্ত্রণালয়ের দরকার নেই।

এর আগে গেজেট প্রকাশে ফের চার সপ্তাহ সময় আবেদন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল। পরে আদালত দুই সপ্তাহ সময় দেন।

১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেনের মামলায় (বিচার বিভাগ পৃথককরণ) ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেয়া হয়। ওই রায়ের ভিত্তিতে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল।

আপিল বিভাগের এ নির্দেশনার পর গত বছরের ৭ মে আইন মন্ত্রণালয় একটি খসড়া শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধি প্রস্তুত করে সুপ্রিম কোর্টে পাঠায়।

গত বছরের ২৮ আগস্ট শুনানিকালে আপিল বিভাগ খসড়ার বিষয়ে বলেন, শৃঙ্খলা বিধিমালা সংক্রান্ত সরকারের খসড়াটি ছিলো ১৯৮৫ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার হুবহু অনুরূপ। যা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থী।

এর পরই সুপ্রিম কোর্ট একটি খসড়া বিধিমালা করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠান। গত ১৬ জুলাই প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এ সংক্রান্ত গেজেট শিগগিরই প্রস্তুত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন আইনমন্ত্রী। ২৭ জুলাই বিকেলে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে খসড়াটি হস্তান্তর করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

কিন্তু ৩০ জুলাই প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ আইনমন্ত্রীর দেওয়া খসড়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

(ওএস/এসপি/আগস্ট ০৬, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test