E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কুয়েতের নাগরিক নন পাপুল, জানাল দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

২০২০ জুলাই ০৯ ১৫:৫৪:৩৪
কুয়েতের নাগরিক নন পাপুল, জানাল দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মানব ও অর্থপাচার এবং ঘুষ লেনদেনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে কুয়েতে আটক বাংলাদেশের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল কুয়েতের নাগরিক নন বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। খবর আরব টাইমস অনলাইনের

আজ বৃহস্পতিবার আরব টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক টুইট বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় বলেছে, শহিদ ইসলাম পাপুল কুয়েতের নাগরিক-বিষয়টি সত্য নয়। এ বিষয়ে যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে আমাদের দরজা সবসময় খোলা।

মূলত এমপি পাপুল কুয়েতের নাগরিক কি-না বিষয়টি বেশি আলোচিত হয় বুধবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে। বুধবার (৮ জুলাই) বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদের এক প্রশ্নের জবাবে সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘কুয়েতের সে নাগরিক কি-না, সে বিষয়ে কুয়েতের সাথে আমরা কথা বলছি। আর যদি এটা হয়, তার পদটি (লক্ষ্মীপুর-২ আসন) খালি করে দিতে হবে। সবকিছু আইন অনুযায়ী চলবে।’

তার আগে মঙ্গলবার (৭ জুলাই) পাপুলের কুয়েতে অবস্থানের বিষয়ে বলতে গিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমাদের এ সাংসদ কোনো সরকারি পাসপোর্ট নিয়ে সে দেশে যাননি। তিনি কুয়েতে ২৯ বছর ধরে ব্যবসা করেন। ওখানকার কোম্পানির সিইও এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক। সে দেশের নাগরিকত্ব পাওয়া বাংলাদেশের এ সাংসদকে তারা সে দেশের একজন ব্যবসায়ী হিসেবে গ্রেফতার করেছে।’

কুয়েতি কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে ২০ হাজার বাংলাদেশিকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে কুয়েতে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে এমপি পাপুলের বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেখানে তাদের যে চাকরি দেয়ার কথা ছিল, বেশিরভাগই সেই চাকরি পাননি। যে বেতনের কথা বলা হয়েছিল, তারা তার চেয়ে কম বেতন পেয়েছেন বা একদমই পাননি। তবে রাষ্ট্রপক্ষের জিজ্ঞাসাবাদে স্বেচ্ছায় ঘুষ দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল।

তার দাবি, তিনি কুয়েতি কর্মকর্তাদের বাধ্য হয়ে ঘুষ দিয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘কুয়েতে আমার ৯ হাজার কর্মী রয়েছে এবং (এ বিষয়ে) আমার শতভাগ টেন্ডার রয়েছে। এ পর্যন্ত কেউ আমার কাজের অর্জন নিয়ে প্রশ্ন তোলেনি। অথচ (কুয়েতের) কিছু সরকারি কর্মকর্তা আমার টেন্ডার বন্ধ করে দেয়ার চেষ্টায় রয়েছেন। তাদেরকে টেন্ডারে রাজি করানোর একমাত্র মাধ্যম হলো তাদের ঘুষ দিতে হবে। তাই আমি এক্ষেত্রে কী আর করতে পারি?’

(ওএস/এসপি/জুলাই ০৯, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test