E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ-এসআই নিয়োগ বাতিল নিয়ে যা বললো যুক্তরাষ্ট্র

২০২৪ অক্টোবর ২৯ ১৩:১৩:৩২
ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ-এসআই নিয়োগ বাতিল নিয়ে যা বললো যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জনগণের মত প্রকাশ ও সমাবেশের স্বাধীনতার মতো মৌলিক স্বাধীনতা চর্চায় বিশ্বাস করে। স্থানীয় সময় সোমবার (২৮ অক্টোবর) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে এই মন্তব্য করেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। তিনি বলেন, বাংলাদেশে যে সরকারই ক্ষমতায় থাকুক, যুক্তরাষ্ট্র সবসময়ই মত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে।

সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক জানতে চান, বাংলাদেশ পুলিশ সন্ত্রাসবিরোধী আইন ব্যবহার করে ছাত্রলীগ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার জন্য গ্রেপ্তার করেছে। তারা সম্প্রতি এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ করেছে। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা ও রাজনৈতিক মত প্রকাশের ওপর এমন নিষেধাজ্ঞার প্রভাবকে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে দেখে? বাংলাদেশে ন্যায্য রাজনৈতিক প্রক্রিয়া ও নাগরিক স্বাধীনতাকে সমর্থন করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র কী পদক্ষেপ নেবে?

এর জবাবে মিলার বলেন, আমরা বাংলাদেশের জনগণের মত প্রকাশ, সমাবেশের স্বাধীনতার মতো মৌলিক স্বাধীনতা চর্চায় বিশ্বাস করি। বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন দল যেই থাকুক না কেন, আমাদের বিশ্বাস এটিই ও আমরা এই মঞ্চ থেকে তা বহুবার স্পষ্ট করেছি।

সংবাদ সম্মেলনে ২৫২ জন এসআই বহিষ্কারের বিষয়টি নিয়েও মিলারের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়। ওই প্রশ্নে সাংবাদিক বলেন, বাংলাদেশে ২৫২ জন পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টরকে (এসআই) চূড়ান্ত নিয়োগ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, তাদের মধ্যে যত হিন্দু ট্রেইনি এসআই ছিলেন, তাদের সবাইকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ধর্মীয় বৈষম্যের বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কী কোনো প্রতিক্রিয়া আছে?

এর জবাবে মিলার বলেন, আমি এই বিষয়ক প্রতিবেদনটি দেখিনি। তবে আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমরা বাংলাদেশে বা বিশ্বের যে কোনো জায়গায় যে কোনো ধর্মীয় বৈষম্যের বিরোধিতা করবো।

তাকে আবারও প্রশ্ন করা হয়, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর কীভাবে বাংলাদেশের সরকারি চাকরিতে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বৈষম্যহীন নিয়োগের অনুশীলন সমর্থন করার জন্য বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করছে?

মিলার বলেন, এ প্রসঙ্গে আমি আগে যা বলেছি, তার সঙ্গে নতুন কিছু যুক্ত করার নেই।

এরপর তার কাছে আবারও জানতে চাওয়া হয়, কথিত বৈষম্যের এই ধরনের ঘটনা কি যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ককে প্রভাবিত করবে?

জবাবে মিলার বলেন, আপনি আমাকে এমন একটি প্রতিবেদন সম্পর্কে অনুমানমূলক ‍উত্তর দিতে বলছেন, যা আমি দেখিনি। আমি তা করতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছি।

এরপর প্রশ্নকারী জানতে চান, চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র সফরে আসেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব। তিনি ডেপুটি সেক্রেটারি ভার্মা, আন্ডার সেক্রেটারি জন বাস ও অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু ছাড়াও এনএসসি ও গ্লোবাল অ্যান্টি-করাপশন কমিশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছিলেন। এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ও বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র তার সম্পর্ক কীভাবে পুনর্মূল্যায়ন করছে, সে সম্পর্কে আপনার কাছে কি কোনো তথ্য আছে?

মিলার জবাব দেন, এ বিষয়ে বলার মতো কোনো তথ্য আমার কাছে নেই।

(ওএস/এএস/অক্টোবর ২৯, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

১৯ জুলাই ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test