E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নতুন নির্বাচনের পথে তুরস্ক

২০১৫ আগস্ট ১৪ ১৪:৩২:১৬
নতুন নির্বাচনের পথে তুরস্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বামপন্থি ‘চুমহুরিয়েত হাক পার্টিসি (সিএইচপি)’ বা রিপাবলিকান পিপল’স পার্টির সঙ্গে তুর্কি প্রধানমন্ত্রী আহমেত দাভুতোগলুর জোট গড়ার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। ফলে সরকার গঠনে নতুন নির্বাচন ছাড়া তুরস্কের সামনে আর কোনো পথ খোলা থাকলো না।

সিএইচপি নেতা কেমাল কিলিচদেরোগলুর সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী দাভুতোগলু জানিয়েছেন, তার ইসলামপন্থি দল ‘আদালেত ভে কালকিনমা পার্টিসি (একেপি)’ বা জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির সঙ্গে জোট সরকার গঠনের বিষয়ে প্রধান বিরোধী দল সিএইচপি’র আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে।

তিনি বলেন, এখন নতুন নির্বাচন ছাড়া আর কোনো সমাধানের পথ খোলা নেই আমাদের সামনে। সংসদকে আমি অনুরোধ করছি, যতো দ্রুত সম্ভব নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হোক।

গত ৭ জুন তুরস্কে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এতে জয় পেলেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়্যব এরদোয়ানের ক্ষমতাসীন একেপি। এ ফলাফলের কারণে রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রেসিডেন্টশাসিত করার পরিকল্পনা ভেস্তে যায় এরদোয়ানের। সেই সঙ্গে সরকার গঠনে সমমনা কোনো দলেরও দ্বারস্থ হওয়া জরুরি হয়ে পড়ে তার জন্য।

এরদোয়ানের প্রেসিডেন্ট শাসিত রাষ্ট্র ব্যবস্থা চালুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন ও একক সরকার গঠনে ক্ষমতাসীন দল একেপির প্রয়োজন ছিল ২৭৬ আসন, কিন্তু তারা পায় ২৫৮ আসন। মোট গৃহীত ৯৯.৯৪ শতাংশ ভোটের মধ্যে তাদের ভোটপ্রাপ্তির হার ৪০.৮ শতাংশ।

এদিকে, প্রধান বিরোধী দল বামপন্থি সিএইচপি ২৫.২ শতাংশ ভোট পেয়ে অর্জন করেছে ১৩২ আসন। আর রক্ষণশীল একেপির প্রতি অপেক্ষাকৃত সহনশীল ন্যাশনালিস্ট মুভমেন্ট পার্টি (এমএইচপি) ১৬.৩ শতাংশ ভোট পেয়ে অর্জন করেছে ৮১ আসন। তবে, সবচেয়ে বড় চমক উপহার দিয়েছে কুর্দি সমর্থিত আরেক বামপন্থি দল পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (এইচডিপি)। একেপির কড়া সমালোচক বলে পরিচিতি এই দলটি ১৩.১ শতাংশ ভোট পেয়ে জিতে নিয়েছে ৭৯টি আসন।

সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচনের পর ৪৫ দিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আসন পাওয়া দল যদি সরকার গঠনে ব্যর্থ হয়, তবে ফের নির্বাচন আহ্বান করবেন প্রেসিডেন্ট। পরবর্তী ৩ মাসের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে সেই নির্বাচন।

২০০৩ সালে ক্ষমতায় আসার পর তিন মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে এখন প্রেসিডেন্টের কুরসিতে আসীন এরদোয়ান। তিনি তুরস্ককে প্রেসিডেন্টশাসিত রাষ্ট্রে পরিণত করতে ৯২ বছরের পুরোনো সংবিধান পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন। এজন্য সংসদের ৫৫০ আসনের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন ছিল তার দলের।

(ওএস/এএস/আগস্ট ১৪, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test