E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

 

 

‘দুই কোরিয়ার চুক্তিতে পারমাণবিক অস্ত্রই ভূমিকা রেখেছে’

২০১৫ আগস্ট ২৮ ১৬:০৭:৩৪
‘দুই কোরিয়ার চুক্তিতে পারমাণবিক অস্ত্রই ভূমিকা রেখেছে’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আলোচনা নয়, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনে পারমাণবিক অস্ত্রই ভূমিকা রেখেছে বলে মন্তব্য করেছেন উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং-উন।

 

দেশের কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের (সিএমসি) এক বৈঠকে কিম এ মন্তব্য করেছেন বলে শুক্রবার এক সংবাদে জানিয়েছে পিয়ংইয়ংভিত্তিক সংবাদসংস্থা কেসিএনএ।

সংবাদে বলা হয়, ওই বৈঠকে কিম বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রকে সমীহ করেই দক্ষিণ কোরিয়া চুক্তি সম্পাদনে রাজি হয়েছে। আলোচনা এখানে কোনো ভূমিকাই রাখতে পারেনি।

এর আগে সীমান্তে স্থল মাইন বিস্ফোরণের ঘটনায় পিয়ংইয়ংকে দায়ী করে সীমান্তে লাউডস্পিকারে উত্তর কোরিয়া বিরোধী ‘প্রচারণা’ শুরু করে সিউল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোরীয় উপদ্বীপে সৃষ্টি হয় উত্তেজনার। সিউলকে ‘আগুনের সাগরে’ পরিণত করার হুমকি দিয়ে বসে পিয়ংইয়ং। এতেও কোনো লাভ না হলে শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তে গোলাবর্ষণ করে উত্তর কোরিয়ার সেনারা। সেই সঙ্গে ২০ আগস্ট ‘প্রচারণা’ বন্ধ করতে সিউলকে ৪৮ ঘণ্টার সময় বেধে দেয় পিয়ংইয়ং।

২২ আগস্ট স্থানীয় সময় বিকেল ৫টায় ‘ডেডলাইন’ শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে নাটকীয়ভাবে আলোচনায় রাজি হয় দুই কোরিয়া। সীমান্তবর্তী ‘যুদ্ধবিরতি গ্রাম’ বলে পানমুনজন-এ আলোচনায় বসেন দুই দেশের শীর্ষ কর্মকর্তারা। এতে দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির একত্রীকরণ বিষয়ক মন্ত্রী হং ইয়ং-পিও ও জাতীয় নিরাপত্তা অধিদফতরের প্রধান কিম কুয়ান-জিন। আর উত্তর কোরিয়ার পক্ষে নেতৃত্ব দেন শীর্ষ সেনা রাজনৈতিক কর্মকর্তা হুয়াং পিয়ং-সো ও ওয়ার্কার্স পার্টির সেক্রেটারি কিম ইয়ং-গন।

হুয়াং পিয়ং-সো কিম জং-উনের পর উত্তর কোরিয়ার দ্বিতীয় শীর্ষ ব্যক্তিত্ব ও কিম ইয়ং-গন দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক বিষয়ক বিভাগের প্রধান বলে পরিচিত।

এ বৈঠকে প্রথমে পরিস্থিতির ব্যাপারে যোগাযোগ রক্ষায় সম্মত হন দুই দেশের প্রতিনিধিরা। পরবর্তীতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উত্তেজনা নিরসনে চুক্তিবদ্ধ হয় দুই কোরিয়া।

চুক্তি অনুযায়ী, তাৎক্ষণিকভাবে সীমান্তে লাউডস্পিকারে উত্তর কোরিয়া বিরোধী প্রচারণা বন্ধ করবে দক্ষিণ। আর সাম্প্রতিক এই সামরিক উত্তেজনায় দক্ষিণ কোরিয়াকে ক্ষমা করে দেবে উত্তর।

এদিকে, সিএমসি‘র বৈঠকেই ক্ষমতাধর এই কমিশনের কয়েকজন সদস্যকেও বহিস্কার করেছেন কিম। তবে কি কারণে ও কাদের বহিস্কার করা হলো, সে বিষয়ে বিস্তারিক কিছু জানায়নি কেসিএনএ।

(ওএস/এএস/আগস্ট ২৮, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test