E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ চুরি : চীনা ব্যক্তি চিহ্নিত

২০১৬ মার্চ ২৯ ১৩:৪৪:২৬
বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ চুরি : চীনা ব্যক্তি চিহ্নিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন ডলার (৮০০ কোটি টাকা) হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় জড়িত এক চীনা ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছে ফিলিপাইনের কর্মকর্তারা।

ওয়েইকাং সু নামের ওই ব্যক্তি ১৩ মিলিয়ন ডলার ব্যাংকের মাধ্যমে এবং ১৮ মিলিয়ন ডলার নগদ গ্রহণ করেছিলেন। মঙ্গলবার ফিলিপাইনের সংবাদমাধ্যম ইনকোয়ারার এ তথ্য জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঞ্চিত অর্থ থেকে গত ফেব্রুয়ারি মাসে হ্যাকাররা ৮১ মিলিয়ন ডলার লোপাট করে। গত সপ্তাহে ফিলিপাইনের সংবাদমাধ্যম ডেইলি ইনকোয়ারার অর্থ লোপাটের এ তথ্য প্রকাশ করে। সুইফট মেসেজিং সিস্টেমে জালিয়াতির মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ সরানো হয় ফিলিপাইন ও শ্রীলঙ্কার ব্যাংকে। শ্রীলঙ্কায় যাওয়া দুই কোটি ডলার মাঝপথে আটকানো গেলেও ফিলিপাইনের রিজাল ব্যাংকের মাকাটি সিটির জুপিটার স্ট্রিট শাখার পাঁচটি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে নেওয়া ৮১ মিলিয়ন ডলার ক্যাসিনো হয়ে হংকংয়ে পাচার হয়ে গেছে।

বৈদেশিক অর্থ বিনিময় প্রতিষ্ঠান ফিলরেমের প্রেসিডেন্ট সালুদ বাউতিস্তা জানিয়েছেন, ডলারগুলো প্রথমে পেসোতে রূপান্তর করা হয়েছিল। পরে এগুলো ভাগে ভাগে সু, ইস্টার্ন হাওয়াই লেইসার ও ব্লুমবেরি হোটেল ইনকরপোরেশনের ব্যাংক হিসেবে স্থানান্তর করা হয়েছিল।

ফিলিপাইন কর্তৃপক্ষ ৪৪ বছর বয়স্ক সুর পাসপোর্টের একটি পাতার ছবি প্রকাশ করেছে। এতে দেখা গেছে, তার জন্ম ১৯৭২ সালের ৩ নভেম্বর। চীনের জননিরাপত্তা মন্ত্রণালয় ২০১১ সালের ২৩ মে পাসপোর্টটি ইস্যু করেছিল। এর মেয়াদ শেষ হবে ২০২১ সালের ২৪ মে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের লোপাট হওয়া অর্থ ক্যাসিনো হয়ে তারপর হংকংয়ে পাচার হয়েছিল। ক্যাসিনো সূত্র জানিয়েছে, ডেইলি ইনকোয়ারারে বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ হ্যাংকিংয়ের ঘটনাটি প্রথম যেদিন প্রকাশিত হয়, সেদিন সুকে মনে করা হয়েছিল সে ক্যাসিনোর জাংকেট অপারেটর। পরে অবশ্য সোলাইরি ক্যাসিনোর পক্ষ থেকে জানানো হয়, আসলে সু অনেক বড় জুয়াড়ি। যেদিন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, সেদিনও সে রোক্সাস বুলভার্ড এলাকায় জুয়া খেলছিল।

ইনকোয়ারারকে একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর ফিলিপাইনের অর্থ পাচারবিরোধী কাউন্সিল এএমএলসি সোলাইরি হোটেলের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছিল। এরপর সোলাইরি কর্তৃপক্ষ সুকে তাদের ক্যাসিনোতে প্রবেশ ও খেলতে বাধা দিয়েছিল।

বিচার বিভাগের আগেই এএমএলসি সু ও অর্থ পাচারের ঘটনায় সন্দেহভাজন আরেক ব্যবসায়ী কিম ওংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিল।

অর্থ পাচারের ঘটনায় ফিলিপাইনের ব্লু রিবন কমিটির সদস্য সিনেটর সের্গেই ওসমেনা বলেছেন, কিম ওং অর্থ পাচারের ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী হতে পারে। তিনি জাতীয় তদন্ত ব্যুরোকে সুর ব্যাপারেও খোঁজখবর নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

(ওএস/অ/মার্চ ২৯, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test