E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রোজায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখবেন যেভাবে

২০২১ এপ্রিল ২৮ ১৭:৪২:১৯
রোজায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখবেন যেভাবে

লাইফস্টাইল ডেস্ক : ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা বেশ কষ্টকর। নিয়ম মেনে চলেও অনেক সময় রক্তে সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় না। সারাদিন রোজা রেখে অনেক ডায়াবেটিস রোগীরাই ইফতারে ভুল খাবার খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিস বেড়ে যেতে পারে।

তবে জানেন কি? রক্তে সুগারের মাত্রা কমানোর জন্য আদর্শ এক সময় হলো এই রমজান মাস। ইফতার এবং রাতের খাবারে যদি পুষ্টিকর খাবার খেতে পারেন; তাহলে এ সময় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনা খুবই সহজ।

কিছুসংখ্যক জটিল রোগী বাদে অধিকাংশ ডায়াবেটিক রোগী বড় ধরনের কোনো সমস্যা ছাড়াই রোজা পালন করতে পারেন। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক, রোজায় যেভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখবেন-

>> রোজার সময় ইফতার ও সাহরিতেই বেশি পরিমাণে খাওয়া হয়ে থাকে। খেয়াল রাখবেন, এ সময়েও যেন আপনার খাদ্যতালিকা আগের মতোই থাকে।

>> খাবারের ক্যালোরি যাতে না বাড়ে। ভাজাপোড়া খাবার একেবারেই খাবেন না।

>> অন্য সময়ের মতোই মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া নিষেধ।

>> জটিল শর্করা যেমন: লাল চালের ভাত, রুটি, ওটস, কর্নফ্লেক্স খাওয়া ভালো। এতে সারাদিন রোজা রেখেও এনার্জি পাবেন।

>> যথেষ্ট পরিমাণে শাকসবজি, তাজা ফলমূল খেতে হবে।

>> একসঙ্গে অনেক খাবার না খেয়ে ইফতারের পর থেকে অল্প অল্প ভাগ করে খাওয়া উচিত।

>> সাহরি না খেয়ে রোজা রাখবেন না। সাহরিতে লাল চালের ভাত বা রুটি, সবজি, মাছ বা মাংসসহ একটি পূর্ণাঙ্গ খাবার খেতে হবে।

>> ইফতারে শরবত বা মিষ্টি জুস না খেয়ে ডাবের পানি, ফলের রস, লেবুপানি পান করতে পারেন।

>> রাতে দুধ, ফলমূল, চিড়া, দই ইত্যাদি খেতে পারেন।

>> গরমে রোজা হওয়ার কারণে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। তাই দৈনিক ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন।

>> শরীরচর্চা করা বন্ধ করা যাবে না। রোজা রেখে দিনের বেলায় ব্যায়াম না করে ইফতারের এক ঘণ্টা পর ব্যায়াম করুন বা হাঁটাহাঁটি করতে পারেন।

পাশপাশি রোজায় নিয়মিত সুগার পরীক্ষা করতে হবে-

>> রোজার সময় রাতে, এমনকি দিনেও সুগার মাপুন; যাতে ওষুধের মাত্রা ঠিকভাবে সমন্বয় করা যায়। ইসলামী চিন্তাবিদদের মতে, এতে রোজার কোনো ক্ষতি হয় না।

>> সাহরির ২ ঘণ্টা পর এবং ইফতারের এক ঘণ্টা আগে রক্তের সুগার পরীক্ষা করুন। যদি সুগারের পরিমাণ কমে ৩.৯ মিলিমোল/লিটার হয়ে যায়, তাহলে রোজা ভেঙে ফেলতে হবে।

>> রোজায় যদি সুগারের মাত্রা ১৬.৭ মিলিমোল/লিটার বা তার বেশি হয়; তাহলে প্রস্রাবে কিটোন বডি পরীক্ষা করতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রয়োজনে চামড়ার নিচে ইনসুলিন নেওয়া যেতে পারে।

(ওএস/এসপি/এপ্রিল ২৮, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test