E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ডায়াবেটিস ও হৃদরোগীর ঈদের ডায়েট যেমন হবে

২০২১ জুলাই ২০ ১২:২১:১৫
ডায়াবেটিস ও হৃদরোগীর ঈদের ডায়েট যেমন হবে

লাইফস্টাইল ডেস্ক : কোরবানি ঈদে মুখোরোচক সব খাবার খাওয়া হয়ে থাকে। তবে যারা দীর্ঘমেয়াদী সব রোগে ভুগছেন তাদের খাবারের বিষয়ে অধিক সতর্ক থাকা উচিত। না হলে শরীর অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। ঈদে ডায়াবেটিস, হৃদরোগীসহ যারা কঠিন সব রোগে ভুগছেন তাদের খাবারের বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা অধিক সতর্কতা অনুসরণের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

তাই ঈদ উপলক্ষ্যে ভরপুর না খেয়ে বরং ভিন্ন রোগীদের উচিত সঠিক ডায়েট অনুসরণ করা। জেনে নিন ঈদে ডায়াবেটিস, হৃদরোগী, কিডনি রোগীসহ অন্যান্যরা কীভাবে সুস্থ থাকবেন?

উচ্চরক্তচাপ, স্ট্রোক এবং হৃদরোগীরা

অতিরিক্ত গরুর মাংস খেলে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বেড়ে যায়। শুধু গরু নয়, মহিষ, ছাগল ও খাসির মাংসে থাকে উচ্চমাত্রার প্রোটিন ও ফ্যাট, তাই অতিরিক্ত মাংস খেলে স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও কোলেস্টেরল এর মাত্রা বেড়ে যায়, বিশেষ করে যারা আগে থেকেই এসব রোগে ভুগছেন তাদের ঝুঁকি আরও বেশি।

ঈদে ডায়াবেটিস রোগীরা অবশ্যই অধিক মাংস খাওয়া এড়িয়ে যাবেন। সেইসঙ্গে মিষ্টিজাতীয় খাবার গ্রহণে সতর্ক থাকবেন। সম্ভব হলে কম চিনি ও দুধযুক্ত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। পাশাপাশি ফল ও শাকসবজি খেতে হবে।

বরং টক খাবারের মাধ্যমে রসনা পূরণ করতে পারেন। নেহাত মিষ্টি খেতে চাইলে চিনির বিকল্প দিয়ে তৈরি করে নেবেন। পোলাও, বিরিয়ানি কম খাবেন। গরু বা খাসির মাংস খাওয়া যাবে, পরিমাণটা অতিরিক্ত যাতে না হয় এবং চর্বি যেন কম থাকে।

আর মাংস খাওয়ার সময় অবশ্যই খেয়াল রেখে পরিমিত পরিমাণে এবং চর্বি ছাড়িয়ে খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। সারা বছর তারা যে ধরনের নিয়মকানুন পালন করেন খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে, কোরবানির সময়ও সেভাবে চলাই ভালো।

কোরবানির মাংস একটু-আধটু খেলে শরীরের যে খুব ক্ষতি হয়ে যাবে তা নয়। তবে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। যাদের ওজন বেশি; তাদের ক্ষেত্রেও উচিত ঈদের সময় খাওয়ার ব্যাপারে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে।

কিডনি রোগীদের করণীয়

যারা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন যেমন- ক্রনিক রেনাল ফেইলুর; তাদের প্রোটিন-জাতীয় খাদ্য কম খেতে বলা হয়। তাই মাংস খাওয়ার বিষয়ে আরও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কোনোভাবেই অতিরিক্ত মাংস খাওয়া ঠিক হবে না। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সারা বছরের মতো ঈদের সময়ও একই খাবার খাওয়াই ভালো।

অন্যান্য রোগীরা যা করবেন

যাদের এনাল ফিশার ও পাইলস-জাতীয় রোগ আছে; তাদের পায়ুপথে জ্বালাপোড়া, ব্যথা ইত্যাদি বাড়তে পারে। এমনকি পায়ুপথে রক্তক্ষরণও হতে পারে। তাই প্রচুর পরিমাণে পানি, শরবত, ফলের রস, ইসবগুলের ভুসি ও অন্যান্য তরল খাবার বেশি খাবেন। পেটে গ্যাস হলে ডমপেরিডন, অ্যান্টাসিড, ওমিপ্রাজল, প্যান্টোপ্রাজল-জাতীয় ওষুধ খেতে পারেন।

যাদের আইবিএস আছে; তারা দুগ্ধজাত খাবার পরিহার করুন। দাওয়াতে গেলে পরিমিত খাবেন। অতিভোজন পরিহার করার চেষ্টা করবেন। হয়তো অনেক খাওয়া-দাওয়া টেবিলে সাজানোই থাকবে। তবে খেতে বসলেই যে সব খেতে হবে তা নয়। পরিমাণ মেনে তবেই খাবার গ্রহণ করুন।

রাতের খাবার খেয়েই ঘুমিয়ে পড়বেন না। খাওয়ার অন্তত ২ ঘণ্টা পর বিছানায় যাবেন। খাবারের ফাঁকে ফাঁকে পানি খাবেন না। এতে হজম রসগুলো পাতলা হয়ে যায়। ফলে অনেক সময় হজমে অসুবিধা হয়। তাই খাওয়ার অন্তত এক ঘণ্টা পর পানি পান করুন।

বয়স্কদেরও সচেতন থাকা জরুরি

মধ্যবয়সী এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের খাবার সম্পর্কে সচেতন থাকা আরও জরুরি। এমনকি উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, রক্তে অতিরিক্ত চর্বি ইত্যাদি না থাকা সত্ত্বেও এই বয়সের মানুষের ঈদের খাবারের ব্যাপারে বাড়তি সতর্ক থাকা দরকার।

অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে তাদের পেট ভরা ভাব, অস্বস্তিকর অনুভূতি, বারবার ঢেঁকুর ওঠা এমনকি বুকে ব্যথা পর্যন্ত হতে পারে। বেশি মাংস খেলে তা পরিপূর্ণভাবে হজম হতে সময় লাগে।

(ওএস/এসপি/জুলাই ২০, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

২৪ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test