E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নৃত্যানুষ্ঠান সাউন্ড অব ঘুঙরো ছিলো চমৎকার একটি আয়োজন

২০১৫ অক্টোবর ০৭ ১৪:৪৬:১৫
নৃত্যানুষ্ঠান সাউন্ড অব ঘুঙরো ছিলো চমৎকার একটি আয়োজন

খুরশীদ শাম্মী : ৪ অক্টোবর, রবিবার, সন্ধ্যা ৬টায় টরন্টোর ড্যানিয়েলস স্প্যাকট্রামস অডিটেরিয়ামের ঘুটঘুটে আঁধারকে তাচ্ছিল্য করে নূপুরের শব্দে মাতিয়ে তুলেছিল টরন্টোতে বেড়ে উঠা শিশু ও কিশোরীর একটি দল। শুধু তাই নয়, তাল এবং ছন্দে গাঁথা ঐ নূপুরের শব্দগুলো উপস্থিত প্রতিটি দর্শকদের হৃদয়ে এনে দিয়েছিলো একটি ভিন্ন মিষ্টি অনুভূতি।

ঠিকমতো কথাও বলতে শেখেনি এমন শিশুরাও প্রজাপতি সেজে মঞ্চে পাখা মেলে নেচে গেলো নির্দ্বিধায়। একবিশ্ব শতাব্দীর কিশোরীরা সাবলীলভাবে নাচলো ষাট এবং সত্তুর দশকের চলচ্চিত্রের গানের সাথে। তাদের অঙ্গভঙ্গিতে ছিল না কোন প্রকার জড়তা। রবীন্দ্রসংগীত কিংবা নজরুলগীতির কথা এবং সুরে মিশে যেতেও ভুল করেনি তারা।

রুমানা চৌধুরীর লেখা আমি নারী কবিতাকে মাহিয়া হাবীব রিংকেল এবং তাসনীম আহমেদ অর্ণি, পাকা নৃত্যশিল্পী মিঠুন রেজার সংস্পর্শে বর্ণনা করে এক অদ্ভুত নৃত্যাভিনয়ে। হ্যাঁ, এই শিশু-কিশোরীর দলটিতে ছিলো শিল্পী অরুণা হায়দার পরিচালিত সুকন্যা নৃত্যাঙ্গনের শিক্ষার্থী ঋষিকা, নবদিতা, প্রিয়ন্তী, ইন্দ্রীমা, পারিসা চৌধুরী, আসমিতা ব্যানার্জী, মিষ্টি, রায়না রাকিব, হৃদা রহমান, অবন্তী, লিয়ানা, আপওলা, মন্দিরা চৌধুরী, প্রার্থনা পল, তাসনীম আহমেদ অর্ণি, মাহিয়া হাবীব রিংকেল, রচনা খন্দকার, শ্রেয়া সাহা, নাজিয়া হক। আর এই ক্ষুদে শিল্পীরা এত মনোযোগ দিয়ে পরিবেশনা করছিলো তাদের বিদ্যাপীঠ সুকন্যা নৃত্যাঙ্গন আয়োজিত নৃত্যানুষ্ঠান “সাউন্ড অব ঘুঙরো”তে।

শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশনা করেন অরুণা হায়দার নিজে এবং অতিথি শিল্পী হিসেবে দক্ষ্য নৃত্যশিল্পী উমামা নওরোজ ইত্তেলা, মিঠুন রেজা এবং সীমা বড়ূয়া। তাঁদের সবার পরিবেশনায় ছিলো তাল, ছন্দ, অভিনয়ের এক নিখুঁত সংমিশ্রণ এবং চমৎকার আকর্ষণ। পরিচ্ছন্ন উচ্চাঙ্গ নৃত্য নির্বাচন, মঞ্চসজ্জা, শিল্পীদের পোশাক এবং সাজসজ্জা, উপস্থাপিকা রুমানা চৌধুরী, মেরী রাশেদিন এবং রাশিদা মুনির এর এক সুতোয় গাঁথা স্পষ্ট উপস্থাপনা অনুষ্ঠানকে আরও উপভোগ্য করে তোলে। বিশেষ অতিথি হয়ে উপস্থিত ছিলেন কবি আসাদ চৌধুরী।

তিনি স্কুলের গ্রাজুয়েট শিক্ষার্থী শ্রেয়া সাহাকে মঞ্চে পুরষ্কৃত করেন। কবি তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে প্রবাসে বাংলা সংস্কৃতি চর্চাকে প্রশংসা করেন এবং গুরু-শিষ্য সকলের জন্য আশীর্বাদ করেন। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত করতালীতে মুখরিত করে উপস্থিত সকলে কবির মত করেই তাদের সাফল্য কামনা করে।

লেখক : প্রধান নির্বাহী, কানাডা-বাংলাদেশ নিউজ এজেন্সী (সিবিএনএ)

পাঠকের মতামত:

০২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test