E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘যুক্তরাষ্ট্র থেকে বঙ্গবন্ধুর খুনিকে দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে’

২০১৬ জানুয়ারি ১৫ ১৪:৩১:৩১
‘যুক্তরাষ্ট্র থেকে বঙ্গবন্ধুর খুনিকে দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে’

সাবিত্রী রায় (বাংলা প্রেস), নিউ ইয়র্ক : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকারী জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর খুনিকে ফেরত নিতেই এখানে এসেছি। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে বঙ্গবন্ধুর এই খুনিকে দেশে ফেরানোর জন্য এবার চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে জ্যাকসন হাইটসের একটি রেস্তোরাঁর মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা বাংলা প্রেস।

যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগ আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগ সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের কার্যকরি সভাপতি ও সংসদ সদস্য মাইনুদ্দীন খান বাদল, বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কোন আইএস জঙ্গী নেই। তবে দু’একজন আইএস মতাদর্শে বিশ্বাসী বা অনুসারী থেকে থাকতে পারে। তবে এই সংগঠনের কোন সংক্রিয় তৎপরতা বাংলাদেশে নেই। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তোমরা আমাদের কাছে আর কি চাও। আমি বলেছি আমরা আর কিছুই চাইনা। বাংলাদেশ এখন কারো কাছে হাত পাতেনা। তারা জঙ্গী নির্মূলে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করার কথা বলেছে।

তিনি আরো বলেন, আমরা বলেছি কারা জঙ্গী তৎপরতার সঙ্গে জড়িত সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে কোন সুনির্ধারিত তথ্য থাকলে তা দিয়ে যেন আমাদের সহায়তা করে। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে অবস্থিত কয়েকটি বিদেশী দূতাবাস কিছু হলেই ইয়োলো এলার্ট, রেড এলার্ট জারি করে। আমি ভোলার মন মোহন, হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ, লক্ষীপুরসহ বিভিন্ন স্থান সফরে গিয়ে দেখেছি ওইসব দেশের নাগরিকরা কাজ করছে। তাদের বলেছি তোমাদের দেশের দূতাবাসতো রেড এ্যালার্ট জারি করেছে। চলো তোমাদের নিরাপদে পৌচ্ছে দেই। তারা হেসে বলেছেন আমাদের কোন নিরাপত্তা প্রয়োজন নেই। আমরা ভালো আছি। তিনি বলেন, যে দেশে দাঁড়িয়ে কথা বলছি এই যুক্তরাষ্ট্রেই হত্যা এবং সড়ক দূর্ঘটনা বাংলাদেশের চেয়ে বেশী।

তিনি বলেন, দেশ আজে শেখ হাসিনার এক যোগ্য নেতৃত্বে উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলছে। এই উন্নয়নের পথ আর কোন অপশক্তি রোধ করতে পারবে না। জামাত নিষিদ্ধ করা প্রসঙ্গে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, জামাত নিষিদ্ধ করা একটা আইনি প্রক্রিয়ার বিষয়। এ বিষয়ে আমি এখনই কিছু বলতে চাইনা। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাঈনুদ্দীন খান বাদল বলেন, ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু দেশে না ফিরলে ভারতীয় সৈন্যরা ফিরতো কিনা তা নিয়ে সংশয় ছিলো।

তিনি বলেন ১৯৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এমন একটা রক্তাক্ত অবস্থা থেকে ফিরে এসে একটু জাতির মাথা উচু করে দাড়াতে পারার যে গৌরভ, যে অসামান্য কৃতিত্ব এজন্য যদি কেউ বঙ্গবন্ধুর অবদানকে খাটো করে দেখে সে নেমক হারাম। সরকারের নানা সাফ্যল্যের কথা উল্লেখ করে প্রবীন এই রাজনীতিবিদ বলেন, বিশ্বব্যাংকের ৩০ হাজার কোটি টাকা উপেক্ষা করে পদ্মা সেতু আজ আর ঠাকুর মার ঝুলির গল্প নয়। তিনি বলেন, তথা কথিত মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ইরাক, সিরিয়া, পাকিস্তান, আফগানিস্তানে আজ আগুন জ্বলছে। শেখ হাসিনার বলিষ্ট নেতৃত্বে এবং সফল কূটনীতির কারনে বাংলাদেশ আজ শান্তি এবং উন্নয়নের মডেল।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ১০ লাখ, ২০ লাখ জনসংখ্যার দেশ নয়। গোটা ইউনাইটেড আরব আমিরাতের সুয়ারেজ ব্যবস্থার চেয়ে শুধুমাত্র ঢাকা শহরের সুয়ারেজ ব্যবস্থা অনেক বড়। অনেক সীমাবদ্ধতা থাকার পরও তা কিন্তু এই সরকার দক্ষতার সঙ্গে মোকাবেলা করছে।

(ওএস/এএস/জানুয়ারি ১৫, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test