E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

অস্ট্রেলিয়ার পার্থে একুশে ফেব্রুয়ারি পালন

২০১৭ ফেব্রুয়ারি ২৩ ১৮:০১:৩৪
অস্ট্রেলিয়ার পার্থে একুশে ফেব্রুয়ারি পালন

শর্মিষ্ঠা সাহা


২১শে ফেব্রুয়ারি, শহীদ দিবস, ভাষা দিবস, আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস। এটি বাঙালি জাতির শোকের দিন, গর্বের দিন, আনন্দের দিন। এই দিনে বাঙালি জাতি হারিয়েছে তার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের, এই দিনের শোককে শক্তিতে পারিণত করে বাঙালি পেয়েছে স্বাধীনতা, এই দিন স্বীকৃতি লাভ করেছে আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবসের। দেশ ও দেশের বাইরে প্রবাসেও বাঙালিরা এই দিবসটি পালনে করে নানা আয়োজনে।

শহীদ মিনারের বেদীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান একৃশে ফেব্রুয়ারি উদয়াপনের প্রধান অনুষ্ঠান্। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও অস্ট্রেলিয়ার পার্থে একুশের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদানের আয়োজন করা হয়েছিল।

এবারে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণের সময় নির্ধারণ করা হয় একুশে ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায়। সমবেত সকলে আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি... গানের সুরে সুরে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন শহীদ মিনারের বেদিতে। স্থানীয় প্রবাসি বাঙালি ছাড়াও বাংলাদেশ থেকে বেড়াতে আসা বাঙালিরাও এসময় উপস্থিত ছিলেন। বিভিন্ন বয়সের নারী পুরুষ ও শিশুদের উপস্থিতিতে তৈরি হয়েছিল এক খন্ড ক্ষুদ্র বাংলাদেশ।

পার্থের বাঙালীদের জন্য একটি শহীদ মিনারের অভাব লক্ষ্য করেই ২০১০ সালে প্রবাসী বাঙালি বিশ্বজিৎ বসু নিজ হাতে একটি শহীদ মিনার তৈরি করেন এবং নিজের বাড়ীর সামনে এটি স্থাপন করেন। সে বছরই পার্থের বাঙালীরা প্রথমবাররে মত প্রবাসে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য দিয়ে একুশ উদযাপনের সুযোগ পান। এরপর থেকে প্রতি বছরই এ আযোজন চলে আসছে।

একুশের এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন প্রবীর সরকার, কামরুল আহমেদ, জহিরুল বাতেন, নাসরীন আলম, সোনিয়া চৌধুরী, দেবাশীষ সাহা, মিতুল দাস, নাজমে আরা মৌসুমী, বাজিয়া পাপিয়া, দীপক সরকার, শহিদুল্লা চৌধুরী, বিদ্যুৎ বণিক, বিশ্বজিৎ বসু প্রমুখ। পুষ্পার্ঘ অর্পণ শেষে শুরু হয় ঘরোয়া আলোচনা। আলোচনায় সকলে বাংলাদেশের একুশের স্মৃতিময় দিনগুলির কথা স্মরণ করেন এবং প্রবাসে এ আয়োজনের প্রয়োজনিয়তা তুলে ধরেন।

(আরএম/এএস/ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

০৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test