E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

১ সেপ্টেম্বর পৃথিবীর কাছ ঘেঁষে যাবে বিশালাকৃতির গ্রহাণু

২০১৭ আগস্ট ২১ ১০:৫৩:০৫
১ সেপ্টেম্বর পৃথিবীর কাছ ঘেঁষে যাবে বিশালাকৃতির গ্রহাণু

নিউজ ডেস্ক : আগামী ১ সেপ্টেম্বর পৃথিবীর কাছ ঘেঁষে অতিক্রম করবে বিশালাকৃতির একটি গ্রহাণু। যার আকৃতি প্রায় ২.৭ মাইল প্রশস্ত।

বিশালাকৃতির এই মহাকাশীয় বস্তুটি আমাদের গ্রহের মাত্র ৪.৪ মিলিয়ন মাইল দূরত্ব দিয়ে অতিক্রম করবে। অর্থাৎ পৃথিবী ও চাঁদের মধ্যেকার দূরত্বের ১৮ গুণ দূরত্ব থেকে।

নাসার তথ্যানুসারে, পৃথিবীর কাছাকাছি বস্তুর ওপর নজরদারির ইতিহাসে এবারই প্রথম বিশাল আকৃতির কোনো বস্তু এতো কাছ দিয়ে পৃথিবীকে অতিক্রম করবে। ফলে ভূমিতে থাকা রাডার ব্যবহার করে বিশাল এই গ্রহাণুটি পর্যবেক্ষণে বিজ্ঞানীদের কাছে এটি অভূতপূর্ব সুযোগ।

তবে আশঙ্কার কিছু নেই। পৃথিবীর কোনো ক্ষতি না করেই নিরাপদ ভাবে ‘ফ্লোরেন্স’ নামক এই গ্রহাণুটি প্রায় ৪.৪ মিলিয়ন মাইল দূরত্ব (৭ মিলিয়ন কিলোমিটার) দিয়ে চলে যাবে।

নাসার এনইও (নেয়ার আর্থ অবজেক্ট) সিস্টেম চালু করার পর থেকে এটি পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে যাওয়া কোনো গ্রহাণু নয়, কিন্তু যে দূরত্ব দিয়ে এটি যাবে সেই দূরত্বে এটি সবচেয়ে বৃহত্তম গ্রহাণু।

নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির সেন্টার ফর নেয়ার আর্থ অবজেক্ট স্টাডিজের ম্যানেজার পল চৌদাস বলেন, ‘পরিচিত অনেক গ্রহাণু এর আগে পৃথিবীর কাছ ঘেষে অতিক্রম করেছে, কিন্তু আগামী ১ সেপ্টেম্বরের ফ্লোরেন্সের তুলনায় সেগুলো আকৃতিতে ছোট।’

পৃথিবীর কাছাকাছি বস্তু চিহ্নিত ও নজরদারির জন্য ‘নেয়ার আর্থ অবজেক্ট’ অর্থাৎ গ্রহ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চালু করার পর এই দূরত্ব থেকে পৃথিবীকে অতিক্রম করা সবচেয়ে বড় গ্রহাণু হচ্ছে ফ্লোরেন্স।

ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের নামকরণকৃত এই গ্রহাণুটি প্রথম দেখা গিয়েছিল ১৯৮১ সালে। ১৮৯০ সালের পর আগামী ১ সেপ্টেম্বর এটি সবচেয়ে কাছাকাছি দূরত্ব দিয়ে পৃথিবীকে অতিক্রম করবে। ভবিষ্যতে ২,৫০০ সালের আগে এটি এতো কাছাকাছি আর আসবে না।

নাসার মতে, আগস্ট মাসের শেষের দিকে এবং সেপ্টেম্বরের শুরুতে এটি ছোট টেলিস্কোপগুলোতেও দৃশ্যমান হবে, তখন এটি উজ্জ্বলতা নবম মাত্রার হবে। এই সময়কালে এটি পিসিস অসট্রাইনাস, ক্যাপ্রির্কোনাস, অ্যাকুয়ারিয়াস এবং ডেলফিনাসের নক্ষত্রপুঞ্জের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করবে।

নাসার বিজ্ঞানীরা গ্রহাণুটির বৈশিষ্ট্যে ভালোভাবে পর্যক্ষেণের জন্য ভূমিতে অবস্থিত রাডার ব্যবহার করবে, এক্ষেত্রে ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত নাসার গোল্ডস্টোন সোলার সিস্টেম রাডার এবং পুয়ের্তো রিকোতে অবস্থিত ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশনের আরসিবো অবজারভেটরি ব্যবহৃত হবে। এই যন্ত্রগুলোর সাহায্যে গ্রহাণুটির পৃষ্ঠের বিবরণগুলোও জানা সম্ভব হবে।

এছাড়া এ মাসের শুরুতে নাসা জানিয়েছিল, আগামী ১২ অক্টোবর পৃথিবীর কাছ ঘেষে অতিক্রম করবে ৩০ মিটার আকৃতির একটি গ্রহাণু। ২০১২ টিসি৪ নামক এই গ্রহাণুটি পৃথিবী থেকে মাত্র ৪,২০০ মাইল দূরত্ব দিয়ে প্রথমবারের মতো যাবে।

(ওএস/এএস/আগস্ট ২১, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test