E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

গুচ্ছ ভর্তির ফল নিয়ে অসন্তোষ, ক্ষুব্ধ ভর্তিচ্ছুরা

২০২১ অক্টোবর ২৬ ২৩:২৯:১০
গুচ্ছ ভর্তির ফল নিয়ে অসন্তোষ, ক্ষুব্ধ ভর্তিচ্ছুরা

স্টাফ রিপোর্টার : প্রথমবারের মতো গুচ্ছ পদ্ধতিতে দেশের ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এরই মধ্যে ‘এ’ (বিজ্ঞান বিভাগ) ও ‘বি’ (মানবিক বিভাগ) ইউনিটের ফলাফল ঘোষণা হয়েছে। তবে গুচ্ছ পরীক্ষায় নানা ভোগান্তির মুখে পড়ছেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড জটিলতা থেকে শুরু করে পছন্দের কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে না পারা এবং প্রশ্নপত্রে ভুলের অভিযোগসহ ‘বি’ ইউনিটের ফলাফলেও মিলেছে গোঁজামিলের তথ্য। এ পদ্ধতির পরীক্ষার ফল নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন শিক্ষার্থীরা। ভর্তিচ্ছুদের কাছ থেকে আসছে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া।

বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার দিন ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা এক শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, আমরা নোয়াখালী থেকে এসেছি। গুচ্ছ পদ্ধতি অনুযায়ী আমার মেয়ের কেন্দ্র নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সিলেক্ট করেছি। কিন্তু কেন্দ্র পড়েছে ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। ভোরে ঢাকায় পৌঁছেছি, এখন চলেও যাব। তবে এ পদ্ধতির পরীক্ষায় আমাদের ভোগান্তি থেকেই গেলো।

মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশের পর ফলাফল নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দেয়।

ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাদের ভরাট করা প্রশ্নের সঙ্গে ফলাফলের মিল নেই। আবার প্রশ্ন ভরাটের চেয়েও বেশি নম্বর পেয়েছেন কেউ কেউ।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, ফলাফল নিয়ে কারও সন্দেহ থাকলে চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ রয়েছে।

ফলাফলে এ ধরনের ভুলের বিষয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্য সচিব ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, অনেক শিক্ষার্থী ওএমআর পূরণ করতে ভুল করে। অর্ধেক ভরাট বা অস্পষ্ট হলে কম্পিউটারে সেটা রিড করে না। এখানে ওএমআর সম্পূর্ণ কম্পিউটারের মাধ্যমে রিড হয়, তাই ফলাফল ভুল হওয়ার প্রশ্নই আসে না। এরপরও যারা চ্যালেঞ্জ করতে চায়, বাণিজ্য অনুষদের পরীক্ষার পর আমরা তাদের জন্য একটা নোটিশ দেবো। নির্ধারিত ফি দিয়ে শিক্ষার্থীরা ফের ফলাফল চেক করতে পারবে।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দীন আহমেদ শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে বলেন, শিক্ষার্থীরা যেসব অভিযোগ করেছে, তা ভিত্তিহীন। কম্পিউটারে রেজাল্ট কাউন্ট হয়েছে, ভুল হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে কোনো শিক্ষার্থী যদি অভিযোগের বিষয়ে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তবে পরীক্ষা শেষে আমরা তাদের ফলাফল পুনর্নিরীক্ষণের ব্যবস্থা করবো।

(ওএস/এএস/অক্টোবর ২৬, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

১৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test