E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শেকৃবি ভিসি এ কি বললেন?

২০১৪ ডিসেম্বর ০৯ ২০:০৭:৪৮
শেকৃবি ভিসি এ কি বললেন?

নিউজ ডেস্ক : শিক্ষক লাঞ্ছিতের বিচারে ধীরগতি, ক্যাম্পাসে বাসা বরাদ্দসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) উপাচার্য প্রফেসর শাদাত উল্লার বিরুদ্ধে। আর তার সবকিছুই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই হচ্ছে বলে জানান এ উপাচার্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষকদেরকে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাকে এই নিয়মই (অনিয়ম) করতে দিয়েছেন।’

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, গত ১৯ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক লাঞ্ছিত হন। এ ঘটনার তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে কথা বলতে সোমবার উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। তারা তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রথমে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে শিক্ষকরা বাসা বরাদ্দের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ তুলে উপাচার্যের কাছে এর কারণ জানতে চান। এতে দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি এবং উত্তেজনা আরো বেড়ে যায়।

এই সময় সেখানে থাকা শিক্ষকরা এর প্রতিবাদ করে বলেন, ‘সবকিছু একটা সিস্টেমে (নিয়ম) চলতে হবে।’ কিন্তু উপাচার্য বলেন, ‘আমার এই… সিস্টেম (যাকে খুশি তাকে বাসা বরাদ্দ দেয়া)।’ এ সময় তিনি শিক্ষকদের সমালোচনা করে বলেন, ‘আপনারা যখন খুশি মাসল (পেশিশক্তি) দেখাতে আসবেন না, আমারও (পক্ষের শিক্ষক) আছে।’

এই সময় শিক্ষকরা উপাচার্যকে অভিযুক্ত করে বলেন, ‘আপনি শিক্ষক সমিতিসহ নীল দলের সব কিছু নষ্ট করে দিয়েছেন। আপনি একাডেমিক কাউন্সিল এড়িয়ে চলছেন।’ এসময় উপাচার্য শিক্ষকদের বলেন, ‘ভিসি যা করে তাই আইন।’ তখন শিক্ষকরা বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকে এইসব অনিয়ম করতে বলেননি।’ কিন্তু উপাচার্য শিক্ষকদের সরাসরি বলে দেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাকে এই নিয়মই (অনিয়ম) করতে দিয়েছেন।’

এ সময় উপাচার্য আরো বলেন, ‘এই আমি আপনাদের সহায়তায় এই পদে বসিনি। আপনারা যা খুশি তাই করেন।’

এ বিষয়ে উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাতে উপস্থিত একজন সিনিয়র শিক্ষক (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, ‘আমরা উপাচার্যের সাথে শিক্ষক লাঞ্ছনাকারী শিক্ষক প্রফেসর নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগে যে তদন্ত কমিটি হয়েছে তার দ্রুত সমাধানের দাবি জানাতে গিয়েছিলাম। কিন্তু উপাচার্য তার দম্ভোক্তি ও অহঙ্কারে আমাদের অপমান করেছেন।’ তিনি উপাচার্যকে সব অপকর্ম ও অনিয়ম স্বীকার করে পদত্যাগ দাবি করেন।

বিশ্বাবিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর শাদাত উল্লা বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনিত বাসা বরাদ্দের অভিযোগ ঠিক নয়। আমি যা কিছু করছি সবকিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মেনেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় দুষ্কৃতিকারী শিক্ষক ক্যাম্পাসকে অশান্ত করার জন্য এগুলো করছে।’

নীল দলের নির্বাচনে হস্তক্ষেপের কথা তিনি অস্বীকার করে বলেন, ‘শিক্ষকদের অন্তকোন্দলের জন্য নির্বাচন কমিটি ভেঙে যায়। এতে আমার কোনো হাত নেই।’

(ওএস/এটিআর/ডিসেম্বর ০৯, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test