E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় খাতে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে’

২০১৫ ফেব্রুয়ারি ০৯ ১৩:৫৪:৩১
‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় খাতে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে’

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় খাতে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, এ খাতকে যথাযথ ব্যবহার করে দেশের শিক্ষার মান উন্নয়ন করা সম্ভব।

রবিবার রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশে এখন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বেশি। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা আন্তর্জাতিক মানে উন্নয়নের জন্য এসব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ব্যবহার করা যায়। আশা করি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভবিষ্যত প্রজন্মকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।

তিনি আরও বলেন, যারা আজ শিক্ষা জীবনের সমাপ্তি করছে তাদের মনে রাখতে হবে আজ থেকে তাদের কর্মজীবন শুরু হচ্ছে। তবে তারা ইচ্ছা করলে আরও উচ্চ শিক্ষা নিতে পারে। আমি আশা করবো শিক্ষা জীবনে অর্জিত জ্ঞান ও মেধা দিয়ে এসব শিক্ষার্থী তাদের সৃজনশীলতা প্রয়োগ করে কর্মজীবনকে আলোকিত করে তুলবে এবং জাতি গঠনে অবদান রাখবে।

বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার জন্য আইন করা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমি আশা করবো সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সে আইন মেনে চলবে। আমাদের শিক্ষার মূল লক্ষ্য হলো আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে তোলা। আজকের শিক্ষার্থীরা আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দেবে।

তিনি আরও বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিজস্ব ক্যাম্পাস বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি তাদের ক্যাম্পাসের জন্য জমি কিনেছে। কিন্তু সেখানে এখনও ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে পারেনি। আমি আশা করবো শিগগির কর্তৃপক্ষ এ ক্যাম্পাস নির্মাণ করবে। যারা আইন অনুযায়ী চলতে পারবে না, তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিতে কার্পণ্য করবো না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. আবদুল রবের সভাপতিত্বে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- ড. আকবর আলি খান, বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. এনায়েত উল্লাহ, সদস্যবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মকর্তা ও ছাত্রছাত্রীগণ।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মোট দুই হাজার ১৯ জন শিক্ষার্থীকে সনদ দেওয়া হয়। সর্বোচ্চ ফলাফলে জন্য ২ জনকে চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক, ৩ জনকে চেয়ারম্যান স্বর্ণপদক এবং ৪ জনকে ভাইস চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়।

এছাড়া চেয়ারম্যান স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত প্রয়াত ছাত্র আলামিনের পরিবারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ৩ লাখ টাকার অনুদান দেওয়া হয়।

(ওএস/এএস/ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test