E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

জরুরী সংশোধন দাবী

পাঠ্যপুস্তকে পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের অবস্থান নিয়ে তথ্যবিভ্রাট

২০১৫ জুলাই ০৫ ২১:৪২:৫৬
পাঠ্যপুস্তকে পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের অবস্থান নিয়ে তথ্যবিভ্রাট

নওগাঁ প্রতিনিধি : ভারতীয় উপমহাদেশের ঐতিহাসিক স্থানগুলোর মধ্যে নওগাঁর পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার অন্যতম। কিন্তু জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা পাঠ্য বইয়ে (আমার বাংলা বই) নওগাঁর ঐতিহাসিক পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের অবস্থান সম্পর্কে ভুল এবং অস্পষ্ট তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে।

বইটির ১০০ পৃষ্ঠার ৬ষ্ঠ লাইনে লিখা রয়েছে, “কুমিল্লার লালমাই, আর বরেন্দ্র অঞ্চল দিনাজপুর- নওগাঁ-বগুড়ার পাহাড়পুর এবং মহাস্থান গড়ের মতো মধুপুর গড় থেকে টাঙ্গাইল-গাজীপুর-নরসিংদীর অধিকাংশ ভূমির গঠন একই রকম যা মধুপুর গড় নামে পরিচিত।”

এখানে ঐতিহাসিক পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার প্রকৃতপক্ষে কোন জেলায় অবস্থিত তা সুস্পষ্ট নয়। যেভাবে লেখা রয়েছে, তাতে কোমলমতি শিশুরা বগুড়ার পাহাড়পুর হিসেবেই পড়বে এবং শিখবে।

কখনো যদি ওই শ্রেনীর শিশুদের প্রশ্ন করা হয়, পাহারপুড় কোন জেলায় অবস্থিত? তাহলে পুস্তকের লেখা অনুযায়ী উত্তরটা কি আসবে? শিশুরা কি বগুড়ার পাহাড়পুর বলবে না? ওই বই পড়ে নিঃসন্দেহে শিশুরা ভুল শিখবে এবং বলবে।

কুমিল্লার লালমাই যেভাবে লিখা হয়েছে, সেভাবে যদি নওগাঁর পাহাড়পুর, বগুড়ার মহাস্থানগড় কথাগুলো আলাদা করে লিখা হতো, তাহলে কোমলমতি শিশুরা সহজেই ঐতিহাসিক এসব স্থানের অবস্থান সম্পর্কে সঠিকভাবে বুঝতো এবং সহজেই শিখতে পারতো।

বইয়ে দিনাজপুরের কোন ঐতিহ্যের কথা আলাদাভাবে বলা নেই। বরেন্দ্র অঞ্চল বলতে বৃহত্তর রাজশাহী অঞ্চলকেই বুঝায়। এখানে রাজশাহীর নামটুকুও উল্লেখ করা হয়নি। ফলে এসব ঐতিহাসিক স্থানগুলোর অবস্থান সম্পর্কে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা সঠিক তথ্য শিখতে পারছে না।

শিশুদের সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে নওগাঁ জেলা দুর্নীতি দমন কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ আতিকুর রহমান অবিলম্বে বিষয়টি সংশোধন করার জন্য শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

(বিএম/পিএস/জুলাই ০৭, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test