E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আবারো ‘কঠোর কর্মসূচিতে’ যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা

২০১৬ ফেব্রুয়ারি ২৩ ১৮:১৯:৫১
আবারো ‘কঠোর কর্মসূচিতে’ যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা

স্টাফ রিপোর্টার : বেতন ও মর্যাদার প্রশ্নে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের দাবি আগামী ৬ মার্চে মধ্যে বাস্তবায়ন না হলে আবারো কঠোর কর্মসূচিতে যাচ্ছেন শিক্ষকরা।
 

আগামী ৮ মার্চ বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সাধারণ সভায় শিক্ষকরা লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণাও দিতে পারেন বলে আভাস পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে ফেডারেশনের সাধারণ সভায় এমন মতামত দিয়েছেন বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নেতারা।

সভা শেষে একজন শিক্ষক প্রতিনিধি বলেন, আগামী ৬ মার্চ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে বেতন-বৈষম্য নিরসন সংক্রান্ত পুর্নগঠিত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা রয়েছে। সভায় শিক্ষক প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।

‘ওই সভায় দাবি-দাওয়া বাস্তবায়নের ব্যাপারে ফলপ্রসু সাড়া না পাওয়া গেলে ৮ মার্চ ফেডারেশনের সাধারণ সভায় কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন শিক্ষকরা। আগের মত লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণাও আসতে পারে’।

ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, ৬ মার্চ পুনর্গঠিত মন্ত্রিসভা কমিটির চূড়ান্ত সভা অনুষ্ঠিত হবে, সভায় শিক্ষক প্রতিনিধিরাও থাকবেন।

দাবি বাস্তবায়ন না হলে ৮ মার্চ ফেডারেশনের সাধারণ সভায় শিক্ষকদের মতামত নিয়ে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

কঠোর কর্মসূচির কোনো পরিকল্পনা রয়েছে কি না- জানতে চাইলে এই শিক্ষক নেতা বলেন, শিক্ষকরা চাইলে হতে পারে।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে ফেডারেশনের সাধারণ সভায় মেয়াদ বাড়িয়ে ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিত রাখার ঘোষণা দেন শিক্ষকরা।

গত ১১ জানুয়ারি থেকে লাগাতার কর্মবিরতি পালনের মধ্যে ১৮ জানুয়ারি গণভবনে পিঠা উৎসবে ডেকে শিক্ষক ফেডারেশনের নেতাদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর শিক্ষকরা দাবির স্বপক্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব জমা দেন।

এর প্রেক্ষিতে গত ১৯ জানুয়ারি সভা করে লাগাতার কর্মবিরতি স্থগিত করে ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন।

অষ্টম বেতন কাঠামোতে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাতিল করায় শিক্ষকদের উচ্চতর স্কেলে যাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যায়। পাশাপাশি অধ্যাপকদের পদ ‘অবনমন’ হয়েছে বলে অভিযোগ শিক্ষকদের।

আগের সপ্তম বেতন কাঠামোতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা গ্রেড-১ থেকে গ্রেড-৩ এ উন্নীত হওয়াসহ যে সুযোগ-সুবিধা পেয়ে আসতেন তা বহাল রাখা, গ্রেড-১ থেকে কিছু সংখ্যাক শিক্ষককে সিনিয়র সচিবের পদমর্যাদা (সুপার গ্রেড) দেওয়ার জন্য আন্দোলন করছিলেন।

অন্যান্য দাবির মধ্যে কিছু সংখ্যক শিক্ষককে সিনিয়রিটির ভিত্তিতে ‘বিশিষ্ট অধ্যাপক’ করারও প্রস্তাব দেওয়া হয়। তরুণ শিক্ষকদের উচ্চতর শিক্ষার জন্য বঙ্গবন্ধু বৃত্তি চালু ও গবেষণার ব্যবস্থা করার দাবিও ছিল শিক্ষকদের।

(ওএস/এএস/ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test