E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘৪৬ বছরে কোনো সরকার শিক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়নি’

২০১৭ মে ১৩ ১৫:২৩:৫৭
‘৪৬ বছরে কোনো সরকার শিক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়নি’

স্টাফ রিপোর্টার : গত ৪৬ বছরে কোনো সরকার শিক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়নি বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, কয়েকটি বিষয়ের দিকে তাকালে এটি সুস্পষ্ট হয়। এক. কোনো সরকারের আমলে যথেষ্ট অভিজ্ঞ ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োগ দেয়া হয়নি। ব্যতিক্রম যে নেই তা নয়। কিন্তু সাধারণভাবে দেখা গেছে, কাউকে মন্ত্রী করতে হবে অথচ তার জন্য ভালো পোর্টফোলিও পাওয়া যাচ্ছে না তখন তাকে শিক্ষামন্ত্রী করা হলো।

দুই. বাংলাদেশে শিক্ষা ক্ষেত্রে বিনিয়োগ সব সময় খুব কম হয়েছে। বেশ কয়েক বছর থেকে একটু বেড়েছে। কিন্তু জাতীয় পর্যায়ে মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য যা প্রয়োজন তার ধারে কাছে কোনো দিন এই বিনিয়োগ আসেনি। উন্নত দেশগুলোর দিকে না তাকিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর দিকে তাকালেই চলবে।

শনিবার দুপুরে ঢাকা লেডিস ক্লাবে বাংলাদেশের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা ও আমাদেশ ভবিষ্যৎ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির আয়োজনে এতে সভাপতিত্ব করেন দলটির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম।

এমাজউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে শিক্ষা ব্যবস্থা বেহাল অবস্থায় রয়েছে। এটি না সনাতন না অাধুনিক। বাংলাদেশের শিক্ষায় না আছে ব্যক্তিত্ব গঠনের সূত্র, নেই জাতিগঠনের চিৎশক্তিও।

তিনি বলেন, একুশ শতকে কিন্তু প্রতিযোগিতা হবে মেধার, পেশীশক্তির নয়। এই প্রতিযোগিতা হবে মননের, সৃজনশীলতার, বাচালতার নয়। এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হতে হলে প্রয়োজন হবে সৃজনশীল মস্তিস্কের।

তিনি আরো বলেন, দেশে যে শিক্ষা ব্যবস্থা চালু রয়েছে, বর্তমানের জন্য তা আংশিকভাবে ফলপ্রসু হলেও ভবিষ্যতের জন্য মোটেই উপযোগী নয়।

ঢাবির সাবেক এই উপাচার্য বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল সংস্কার অপরিহার্য হলেও এ সম্পর্কে সুচিন্তিত পরিকল্পনা প্রণয়ন কিন্তু এখন পর্যন্ত যথেষ্ট নয়। এজন্য প্রয়োজন জাতির সার্বিক প্রস্তুতি। প্রয়োজন জাতির রাজনৈতিক দৃঢ় সংকল্প।

তিনি বলেন, এদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি এমন যে ক্ষমতাসীন দল শুধুমাত্র দলীয় ব্যক্তিদের মাধ্যমেই শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় বিষয়ে নীতি প্রণয়ন করতে চেয়েছেন। অন্যান্য দেশে এই দায়িত্ব দেয়া হয় বিশেষজ্ঞদের উপর।

(ওএস/এসপি/মে ১৩, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test