E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সিজার নাকি স্বাভাবিক প্রসব, কোনটি নিরাপদ?

২০১৭ মে ১৫ ১৩:৫৯:০৪
সিজার নাকি স্বাভাবিক প্রসব, কোনটি নিরাপদ?

স্বাস্থ্য ডেস্ক : বর্তমানে বেশিভাগ প্রসূতি সিজারিয়ানের মাধ্যমে সন্তান জন্মদানে আগ্রহী। এ পদ্ধতিকে তারা সন্তান জন্মদানের জন্য সহজ পদ্ধতি হিসেবে মনে করেন। তবে সিজার বড় অপারেশন হওয়ার ফলে এতে কিছু ঝুঁকি থাকে। এজন্য জটিলতা ছাড়া চিকিৎসকরা সাধারণ প্রসূতিকে সিজার করাতে পরামর্শ দেন না।

এদিকে, স্বাভাবিক প্রসব প্রসূতিদের জন্য অধিক নিরাপদ। গর্ভাবস্থায় কোনো জটিল সমস্যা দেখা না দিলে সেক্ষেত্রে স্বাভাবিক প্রসব অধিক নিরাপদ। এটা শুধু বর্তমান গর্ভাবস্থার জন্যই নয় বরং পরবর্তীতে গর্ভধারণের জন্যও নিরাপদ।

তবে সিজারিয়ান নাকি স্বাভাবিক প্রসব, কোনটি অধিক নিরাপদ, কোনটিকে প্রসূতির ঝুঁকি কম, এ নিয়ে মতভেদ রয়েছে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে প্রতি চার শিশুর মধ্যে একজনের জন্ম হচ্ছে সিজারিয়ানের মাধ্যমে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিকল্পিত সিজারিয়ানের ফলে প্রসূতিকে প্রসব বেদনা সইতে হয় না এবং বেশি রক্তক্ষরণ হয় না।

কিন্তু এ পদ্ধতিতে প্রসূতিরে বেশকিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। এসব ক্ষেত্রে অনেকসময় প্রসূতিতে কিছুদিন হাসপাতালে থাকতে হয়ে, এমনকি তা দুই মাস পর্যন্ত হতে পারে।

এছাড়া সন্তান জন্মের পর রক্তক্ষরণ হলে অনেক ক্ষেত্রে গর্ভ অপসারণ করে ফেলতে হয়, একে হিস্টেরেক্টমি বলে। সিজারের পর মায়ের শরীরের ব্যথা কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হয়ে থাকে। সেইসঙ্গে হৃদরোগের ঝুঁকি ও ইউটেরাইন ইনফেকশনের ঝুঁকি বাড়ে।

এছাড়া সিজারের মাধ্যমে সন্তান জন্মের ফলে পরবর্তীতে গর্ভধারণের সময় অ্যাক্টোপিক বা টিউবাল প্রেগনেন্সি, প্লাসেন্টা প্রিভিয়া, প্লাসেন্টা অ্যাক্রিটা এবং প্লাসেন্টাল অ্যাবরাপশনের মতো সমস্যা দেখা দেয়।

অপরদিকে, স্বাভাবিক প্রসবের সুবিধা বেশি হলেও এরও কিছু অসুবিধা রয়েছে। এক্ষেত্রে সাধারণত সন্তান জন্মের কয়েক ঘণ্টা পরই স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসেন মা এবং কয়েকদিনের মধ্যেই স্বাভাবিকভাবে কাজকর্ম শুরু করতে পারেন।

এর আরও সুবিধা হলো, সুস্থভাবে সন্তানের জন্ম হলে শিশু শান্ত থাকে। শিশুর জন্মের সঙ্গে সঙ্গে শাল দুধ পান করানো সম্ভব হয়, এতে মা ও সন্তানের সম্পর্ক দৃঢ় হয়।

এছাড়া স্বাভাবিক প্রসব পদ্ধতিতে শিশুর ফুসফুস শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়ার জন্য প্রস্তুত ও শক্তিশালী হয় এবং মা ও শিশু মানসিক শক্তি লাভ করে।

তবে স্বাভাবিক প্রসব পদ্ধতি প্রসূতির জন্য অস্বস্তিদায়ক ও কষ্টকর। এছাড়া এটাকে নোংরা মনে হয়, কারণ শরীর থেকে ঘাম, অ্যামনিওটিক তরল, রক্ত এবং বাচ্চার জন্মের পর প্লাসেন্টা বা নাড়ি বের হয়।

এছাড়া এতে ভ্যাজাইনাল ইনজুরি হতে পারে। অনেক সময় সেলাইও লাগতে পারে।

তবে চিকিৎসকরা বলছেন, সন্তানের জন্মদান নিয়ে পদ্ধতির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার মায়ের রয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে তাদের সঠিক পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করাটাও জরুরি।

(ওএস/এসপি/মে ১৫, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test