E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

হাসপাতালে হয়রানির শিকার ৪০ শতাংশ নারী

২০১৭ জুলাই ১৬ ১৫:৫৯:৪৮
হাসপাতালে হয়রানির শিকার ৪০ শতাংশ নারী

স্টাফ রিপোর্টার : হাসপাতালে সেবা নিতে যাওয়া ৪০ শতাংশ নারী হয়রানি বা বাজে ব্যবহারের শিকার হন বলে এক গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

রবিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘মানসম্মত গণসেবা’ বিষয়ক আলোচনা সভায় এক গবেষণা প্রতিবেদনের এ তথ্য তুলে ধরে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা অ্যাকশন এইড।

নারীর প্রতি সহিংসতা নিরসনে গৃহীত উদ্যোগের পরিস্থিতি যাচাই করতে খুলনা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জ এ চারটি সিটি করপোরেশনে জরিপ চালানো হয়। জরিপকৃত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন, সিটি করপোরেশন, পরিবহন, বাজার ব্যবস্থাপনা এবং হাসপাতাল।

প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে অ্যাকশন এইডের ম্যানেজার নুজহাত জাবিন বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। ৪০ দশমিক ২ শতাংশ নারী

সেবাপ্রদানকারীদের কাছ থেকে খারাপ ব্যবহারের শিকার হন। অন্যদিকে ১৫ শতাংশ নারী মনে করেন তারা হাসপাতালে কোনো না কোনোভাবে শারীরিক বা মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। আর বাজারে গিয়ে অনাকাঙ্খিত স্পর্শ বা এ ধরনের ঘটনার শিকার হন ৫০ শতাংশ নারী।

জরিপকৃত এলাকার ৩০ শতাংশ নারী জানিয়েছেন থানায় গিয়ে তারা টিজিংয়ের শিকার হন এবং ৩৫ শতাংশ মনে করেন তারা শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত সিটি করপোরেশনের নীতিমালার মাধ্যমে নারী কাউন্সিলরদের বিশেষ কোনো দিকনির্দেশনা নেই। এছাড়া নারীদের আলাদা বসার জায়গা, আলাদা টয়লেট সুবিধা এমনকি মাতৃদুগ্ধপানের আলাদা কোনো স্থান নেই। ফলে এক বছরের নিচে শিশুদের টিকাদানের সময় সমস্যায় পড়তে হয়।

আলোচনা সভায় অন্তর্ভুক্তিমূলক জেন্ডার সংবেদনশীল গণসেবা কাঠামোর দাবি করা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, নাগরিক সেবাকে বাণিজ্যিক না করে সরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিশ্চিত করা, প্রতিষ্ঠানগুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা, স্বচ্ছ ও জেন্ডার সংবেদনশীল বাজেট প্রণয়ন, স্থানীয় পর্যায়ে সম্পদ সমান হারে বন্টন করতে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করা।

এসব বাস্তবায়নে সরকারের অর্থ প্রয়োজন। তাই গতানুগতিক আয়কর, সারচার্জ এবং ভ্যাটের উপর নির্ভয়শীল না হয়ে বিকল্প অর্থায়নের মাধ্যমে অব্যন্তরীণ সম্পদ আহরণের আহ্বান জানানো হয়।

সভায় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা বিভিন্ন এনজিও সংস্থার কর্মীরা ইউনিয়ন পরিষদ ও কমিউনিটি ক্লিনিকের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, প্রত্যন্ত অঞ্চলে বেশিরভাগ ইউনিয়নের সেবা প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ ও কমিউনিটি ক্লিনিকে এমসবিবিএস চিকিৎসক নেই। আর থাকলেও তারা নিয়মিত সেবা দেন না।

সভা পরিচালনা করেন অ্যাকশন এইডের পরিচালক আসগর আলী সাবরি। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলনের চেয়ারম্যান প্রতিমা পাল মজুমদার, এসআরএসের নির্বাহী পরিচালক সেকান্দার আলি মিনা, এনডি বাসের সেক্রেটারি ফাতেমা আক্তার প্রমুখ।

(ওএস/এসপি/জুলাই ১৬, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test