E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ফের অশান্ত বিএসএমএমইউ

২০১৭ জুলাই ১৭ ১৪:৫২:৫৮
ফের অশান্ত বিএসএমএমইউ

স্টাফ রিপোর্টার : প্রশাসনিক নির্দেশ অমান্য করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচন ও কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ফের অশান্ত হয়ে উঠেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)। নির্বাচনের পক্ষে বিপক্ষে শিক্ষকদের পাল্টাপাল্টি অবস্থানের কারণে যে কোনো সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার আশঙ্কায় জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি। সোমবার দুপুর ১২টা থেকে এ সভা চলছে। নির্ভরযোগ্য সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, ১৩ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে ডা. মো. জুলফিকার আলী খানকে সভাপতি ও ডা মো. জিল্লুর রহমান ভুঁইয়াকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৯ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়। সেখানে বলা হয়, গঠনতন্ত্র ও তফসিল মোতাবেক অনুষ্ঠিত ‘শিক্ষক সমিতির নির্বাচন-২০১৭’ এ ঘোষিত পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় বৈধ প্রার্থীদের নির্বাচিত ঘোষণা করা হলো। এ কমিটি ঘোষণার পরই শিক্ষকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দেয়া শুরু হয়।

১৬ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া শিক্ষক সমিতির প্যাডে লেখা এক চিঠিতে বলেন, বিএসএমএমইউএতে অনুষ্ঠিতব্য শিক্ষক সমিতির নির্বাচন-২০১৭ এর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কর্তৃক ১৩ জুলাই ঘোষিত কমিটির ব্যাপারে তিনি অবগত বা সম্পৃক্ত নন। অস্বচ্ছ নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঘোষিত কমিটির বৈধতা দেয়া গেল না। তাই যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষক সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করে শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের সুষ্ঠু ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান।

অধ্যাপক মো. আতিকুর রহমানকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করে তিন সদস্যের কমিটির অপর দুই সদস্য ছিলেন অধ্যাপক ডা. এ কে এম সালেক ও ডা. মো. রফিকউজ্জামান খান।

নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ডা. এ কে এম সালেক স্বাক্ষরিত প্রাপ্ত এক চিঠিতে তিনি ঘোষিত কমিটিকে অবৈধ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি লিখেন, তিনিসহ দুইজন কমিশনার ৬ জুলাই পদত্যাগ করেন। ফলে ওই কমিশনের কোনো বৈধতা নেই। প্রধান নির্বাচন কমিশনার গঠনতন্ত্র বিরোধী কাজ করেছেন। তিনি এ ব্যাপারে শিক্ষকদের সজাগ থাকার অনুরোধ জানান।

অপরদিকে ৬ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল হান্নান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে দেখা যায়, সম্প্রতি কতিপয় সম্মানিত শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচন করতে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রশাসন অবহিত নয়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির বৈধ কোনো নির্বাচিত কমিটি ও নির্বাচন কমিশনার নেই। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সকল শিক্ষকদের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী শিক্ষক সমিতি গঠন বাঞ্চনীয়। শিক্ষকদের সঙ্গেও আলোচনা করে তা করা হবে। ইতোমধ্যেই অধিকাংশ শিক্ষক নির্বাচন প্রক্রিয়ার ব্যাপারে আপত্তি তোলা ও দুইজন নির্বাচন কমিশনার পদত্যাগ করায় নির্বাচন সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম স্থগিত করা হলো।

(ওএস/এসপি/জুলাই ১৭, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test