E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সিটিসেলের তরঙ্গ বরাদ্দ বন্ধের সিদ্ধান্ত আপিলেও বহাল

২০১৬ অক্টোবর ২৫ ১৫:৪৭:১৩
সিটিসেলের তরঙ্গ বরাদ্দ বন্ধের সিদ্ধান্ত আপিলেও বহাল

স্টাফ রিপোর্টার : বেসরকারি মোবাইল অপারেটর সিটিসেলের তরঙ্গ বরাদ্দ বন্ধ সংক্রান্ত সরকারের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেনি আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। ফলে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল থাকলো চেম্বার জজ আদালতে। একই সঙ্গে আগামী ৩১ অক্টোবর আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে এই বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

সিটিসেলের পক্ষে করা আবেদন শুনানি করে মঙ্গলবার অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালত এই আদেশ দেন। আদালতে আজ সিটিসেলের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও এএম আমিন উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও ব্যারিস্টার রেজা-ই-রাকিব।

রেজা-ই-রাকিব সাংবাদিকদের জানান, সিটিসেলের তরঙ্গ বরাদ্দ স্থগিতের ওপর স্থগিতাদেশ না দিয়ে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়েছেন। ৩১ অক্টোবর এ আবেদনের ওপর শুনানি হবে।

বকেয়া টাকা পরিশোধ করা হয়নি এই অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার সিটিসেলের কার্যক্রম (স্প্রেকট্রাম বা তরঙ্গ) স্থগিত করে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। বিটিআরসির এ সিদ্ধান্ত স্থগিত চেয়ে সোমবার আবেদন করে সিটিসেল।

বিটিআরসি দাবি করেছে, সিটিসেলের কাছে সরকারের পাওনা ৪৭৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা। যদিও এই পাওনা টাকার বিষয় নিয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য রয়েছে। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ালে আপিল বিভাগ ছয় সপ্তাহের মধ্যে পাওনা টাকার তিন ভাগের দুই ভাগ এবং অবশিষ্ট টাকা দুই মাসের মধ্যে জমা দেওয়ার জন্য সিটিসেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিলো গত ২৯ আগস্ট।

সিটিসেল তাদের হিসাব মতে বকেয়া টাকার মধ্যে ১৩০ কোটি বিটিআরসিকে এবং ১৪ কোটি টাকা এনবিআরের খাতে জমা করে। কিন্তু বিটিআরসি দাবি করে প্রথম কিস্তির টাকার অঙ্ক ৩১৮ কোটি টাকা। টাকার অঙ্ক নিয়ে দুই পক্ষের এই মতবিরোধের মধ্যে বিটিআরসি সিটিসেলের তরঙ্গ বরাদ্দ স্থগিত করে দেন।

এ পরিস্থিতিতে তরঙ্গ বরাদ্দ ফিরে পেতে সিটিসেল আপিল বিভাগে এই আবেদন করে। এ প্রসঙ্গে সিটিসেলের আইনজীবী মাহবুব শফিক বলেন, আদালত যে কিস্তি নির্ধারণ করে দেন তা দুই পক্ষের সম্মতিক্রমে টাকার অঙ্ক নির্দিষ্ট করার নির্দেশনা ছিল।

বিটিআরসি সিটিসেলকে ১০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ বরাদ্দ দেওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু তারা বরাদ্দ দেয় ৮ দশমিক ৮২ মেগাহার্টজ। এই হিসেবে বিটিআরসির কিস্তি পাওনা হবে ১৪৪ কোটি টাকা। সেই টাকা সিটিসেল জমা দিলেও বিটিআরসি তরঙ্গ বরাদ্দ স্থগিত করে দেয়।

(ওএস/এএস/অক্টোবর ২৫, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test