E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care

For Advertisement

Mobile Version

ধানুয়া কামালপুর শত্রুমুক্ত দিন আজ

২০২৪ ডিসেম্বর ০৪ ১৩:৪৩:৩৭
ধানুয়া কামালপুর শত্রুমুক্ত দিন আজ

রাজন্য রুহানি, জামালপুর : ৪ ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের ১১ নম্বর সেক্টরের জামালপুরের বকশিগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর অঞ্চল। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকহানাদারের কামালপুর ক্যাম্পের গ্যারিসন কমান্ডার আহসান মালিকসহ ১৬২ পাকসেনা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে মুক্ত হয় এই রণাঙ্গনটি। কামালপুর মুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে সূচিত হয় জামালপুর, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল ও ঢাকা মুক্ত হওয়ার পথ।

১১ নং সেক্টরের দায়িত্বে ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানী কর্নেল আবু তাহের বীর উত্তম। ভারতের মহেন্দ্রগঞ্জে ছিল সীমান্তবর্তী এই সেক্টরের সদর দপ্তর। নিয়মিত বাহিনীর ৩ হাজার ও গণবাহিনীর ১৯ হাজারসহ মোট ২২ হাজার মুক্তিযোদ্ধা ছিল ১১ নং সেক্টরে। এই সেক্টরের অদূরেই ধানুয়া কামালপুর সীমান্তে ছিল পাকসেনাদের কংকিটের তৈরি বাংকারসহ দুর্ভেদ্য ও সুরক্ষিত শক্তিশালী ঘাঁটি।

১২ জুন থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাকসেনাদের বিভিন্ন সময়ে ৮ বার সম্মুখ যুদ্ধ হয়েছিল। সম্মুখ যুদ্ধে ক্যাপ্টেন সালাহ উদ্দিনসহ মোট ১৯৪ জন মুক্তিযোদ্ধা শহিদ হয়েছেন, একজন মেজরসহ নিহত হয় ৪৯৭ জন পাকসেনা। এই যুদ্ধে পাকসেনাদের একটি মর্টার সেলের আঘাতে সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবু তাহের গুরুতর আহত হন এবং ১টি পা হারান।

ধানুয়া কামালপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমাণ্ডার মো. মজিবর রহমান জানান, কর্নেল আবু তাহেরের নেতৃত্বে ও ভারতীয় বাহিনীর সহায়তায় কামালপুর পাকসেনা ক্যাম্পে আক্রমণ করা হয় ১৩ নভেম্বর। পূর্ব পরিকল্পনানুযায়ী ২৪ নভেম্বর থেকে কামালপুর পাকসেনা ক্যাম্প অবরোধ করে রাখেন মুক্তিযোদ্ধারা। ৪ ডিসেম্বর গ্যারিসন অফিসার আহসান মালিকসহ বেলুচ, পাঠান ও পাঞ্জাবী সৈন্যের ১৬২ জনের একটি দল আনুষ্ঠানিকভাবে যৌথবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণের পর শত্রুমুক্ত হয় ধানুয়া কামালপুর।

(আরআর/এএস/ডিসেম্বর ০৪, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

২৫ জানুয়ারি ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test