E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

হালকা গহনায় অপরূপা

২০১৪ নভেম্বর ১১ ১৬:৫৯:৩২
হালকা গহনায় অপরূপা

আরিফুন নেছা সুখী : সেজেছেন বেশ পরিপাটি। পোশাকটাও সুন্দর। কিন্তু আপনার কান দুটো খালি কিংবা গলায় কিছুই পরেননি। আপনার সাজটা কি পূর্ণতা পাবে! চিরন্তন সৌন্দর্যের অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ গহনা। গহনায় নারী হয়ে ওঠে আরও মোহনীয়। গহনা ছাড়া নারীর সাজ সম্পূর্ণ হয় না। তাই বলে সব সময় তো আর সোনা-রুপার গহনা পরা যায় না। মাঝে-মধ্যে হালকা গহনাও হতে পারে সাজের অনুষঙ্গ।

প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে গহনা বা অলঙ্কারের প্রচলন। আদিম যুগে নারী-পুরুষ সবাই অলঙ্কার পরত। তখন অবশ্য সোনা, রুপা, মণি-মুক্তার প্রচলন ছিল না। অলঙ্কার হিসেবে ব্যবহৃত হতো ফুল, লতা-পাতা, গাছের ছাল-বাকল, শেকড়, জন্তু-জানোয়ারের হাড়, শিং, পাখির পালক ইত্যাদি। আজকাল অনেকেই সোনা বা রুপার পরিবর্তে বিকল্প গহনা এবং ভারি গহনার চেয়ে হালকা গহনা পরছেন। আর পোশাকের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যদি বিকল্প ও হালকা গহনা পরেন, তাহলে বেশ মানাবে। এছাড়া হালকা গহনার দামও কম। সেজন্য হালকা গহনার প্রতি বেশি ঝুঁকছেন তরুণীরা।

সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ডিজাইনের পরিবর্তনও ঘটেছে গহনায়। নানি-দাদিরা ভারি গহনা ছাড়া চিন্তাই করতে পারতেন না। কিন্তু এখন সময় পাল্টেছে। বদল হয়েছে রুচির। এখন ভারি গহনার চেয়ে হালকা গহনা বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তাই পোশাক ও চেহারার সঙ্গে মিলিয়ে অনায়াসে পরতে পারেন রুচিসম্মত গহনা।

সাজসজ্জায় পোশাকের পর গহনা পরা হয় সৌন্দর্য বাড়াতে। তাই জানা প্রয়োজন কোন অনুষ্ঠানে কী শাড়ি ও কী রকম মেকআপের সঙ্গে কী ধরনের গহনা পরলে আপনাকে মানাবে। আধুনিক নারীরা এখন আর আগের মতো ভারি গহনা পরেন না। পোশাক ও সাজের সঙ্গে মানানসই হালকা গহনা আপনাকে আরও সুন্দর করে তুলবে। আপনার সাজসজ্জাতেই আপনার ব্যক্তিত্বের বহির্প্রকাশ ঘটবে।

তাঁতের শাড়ির সঙ্গে মাটি, মেটালসহ বিভিন্ন ধাতুর ছোট কানের দুল, চিকন চেইন, চুড়ি বেশ মানানসই। সেগুলো আপনার সাজে নতুনত্ব আনবে। ফুটিয়ে তুলবে বাঙালিয়ানা। হাল ফ্যাশনের সঙ্গে আরও যুক্ত হয়েছে মেটাল ও বিডসের গহনা। কাঠ, বাঁশ, পুঁতি, সুতা, টারশেল দিয়েও তৈরি হচ্ছে ফ্যাশনেবল গহনা। এসব গহনা যে কোনো পোশাকের সঙ্গে বেশ মানিয়ে যায়। যেমন টপস ও মেটালের মালার সঙ্গে বড় লকেট পরতে পারেন। সালোয়ার কামিজের সঙ্গে কাঠ, বাঁশ বা মাটির যে কোনো গহনা বেশ মানিয়ে যাবে। আর শাড়ির সঙ্গেও পরতে পারেন হালকা মেটালের গহনা।

গহনা পরার সময় কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা দরকার। যেমন- রাতের কোনো অনুষ্ঠানে বা বিয়েবাড়িতে আপনি চাইলে ভারি গহনা পরতে পারনে। কিন্তু দিনের বেলার অনুষ্ঠানে হালকা গহনা ব্যবহার করাই ভালো।

গহনা পরার সময় আপনার বয়সটা ভাবুন। বয়স একটু বেশি হলে হালকা মেকআপের সঙ্গে সোনা বা পাথরের গহনা পরতে পারেন। তাতে আপনাকে বেশ মানাবে।

আর বয়স কম হলে যেমন খুশি তেমন সাজবেন, তা কিন্তু ঠিক না। বয়স অনুপাতে হালকা গহনা বেশি মানাবে। জবরজং গহনায় আপনাকে বেমানান লাগবে। আজকাল ইমিটিশনের নানা ধরনের হালকা গহনা পাওয়া যায়, সেগুলো পোশাকের সঙ্গে ম্যাচিং করে পরতে পারেন।

অফিসের সাজে আপনাকে আরও সচেতন হতে হবে। অফিসে যত ছিমছাম যাওয়া যায় ততই ভালো। তাই পোশাকটা কারুকার্য খচিত হলে গহনা যথাসম্ভব কম পরাই ভালো। একটা হালকা হার বা ঝোলা দুলই যথেষ্ট। দুল ঝোলা না হলে টপ পরলেও মানাবে। পোশাক যদি সাদামাটা হয় তাহলে তার সঙ্গে ভারি গহনা পরুন। তবে যেটাই পরেন সেটা যেন একটাই হয়। তা হতে পারে একটা লম্বা হার বা সুন্দর একটা বালা। কিংবা এক জোড়া দুল। আর শব্দ হওয়া কোনো অলঙ্কার না পরাই ভালো। কারণ অফিসে আপনি এমন গহনা পরবেন না, যা আপনার সহকর্মীকে বিরক্ত করে।

গলা লম্বাটে হলে গলায় চিক কিংবা গলার কাছে এঁটে থাকে- এমন গহনা পরলে ভালো মানাবে। কানে মাঝারি বা ছোট দুল পরতে পারেন। গলায় ভারি গহনা পরলে কানে অবশ্যই ছোট পরবেন।

খাটো গলায় ভারি অাঁটসাঁট গহনা পরবেন না। এতে গলা আরও ছোট দেখাবে। এক্ষেত্রে ঢিলেঢালা লম্বা হার ও লম্বা চেইন এবং কানে লম্বা দুল পরলে লম্বা মনে হবে। রোগা-পাতলা, ছোট-খাটো হলে ছোট ধরনের গহনাই মানানসই হবে।

(ওএস/এএস/নভেম্বর ১১, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test