E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সংসার সুখের হয় দু’জনের গুণে

২০১৫ ডিসেম্বর ১১ ১২:১৫:০৩
সংসার সুখের হয় দু’জনের গুণে

আরিফুন নেছা সুখী : প্রচলিত একটা কথা ‘সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে’; কিন্তু রমণীদের কেন সংসার সুখের করার সব দায়ভার! তাই ইদানীং আরও একটা লাইন যুক্ত হয়েছে—‘গুণবাণপতি যদি থাকে তার সাথে।’ সত্যিই তো সংসার যদি দু’জনের হয় তাহলে দায়িত্ব তো দু’জনেরই হওয়া উচিত। কিংবা দু’জন কেন, সংসারে উপস্থিত সব সদস্যেরই উচিত সংসারটাকে সুখী করে তোলা। সুখী সংসারের মূলমন্ত্র ছাড় দেয়া। তাই একে অপরকে ছাড় দিতে হবে। সমঝোতা করতে হবে।

কথা হলো সদ্যবিবাহিত লাবণী আক্তারের সঙ্গে। তিনি বলেন, সবই ভালো, কিন্তু শ্বশুর-শাশুড়ি আমাকে নিজের মেয়ে ভাবতে পারেন না, সবকিছুতেই মনে করিয়ে দেন আমি এই বাড়ির বৌ। আমি কিন্তু তাদের নিজের মা-বাবার মতোই মনে করি। তবে আমার স্বামী আমাকে যথেষ্ট বোঝে।
আবার অন্য এক সদ্যবিবাহিত সাথী রহমান। তিনি বলেন, মা-বাবা, ভাই-বোনকে ছেড়ে নতুন জায়গাতে এসেছি, এখানে খাপ খাওয়াতে তো একটু সময় লাগবেই। কিন্তু আমার স্বামী আমাকে একটুও বোঝে না, বরং শ্বশুর-শাশুড়ি আমাকে মানিয়ে নিতে বেশ সাহায্য করেন।
এই দুই নববিবাহিত মহিলার সমস্যা দুই রকম। একজনের স্বামী তাকে বোঝে না, আরেকজনের শ্বশুর-শাশুড়ি বোঝে না। আবার কারও বেলায় কেউই বোঝে না। কিন্তু কথা হলো আপনি নিজে কতটা বোঝেন। তাই নিজেকে জিজ্ঞেস করুন তো আপনি কী নিজেকে উজাড় করে দেন আপনার সংসারের জন্য। নিজেকে আদর্শ করে তোলার জন্য নিজের আন্তরিকতার শতভাগ দেয়ার চেষ্টা করুন।
স্বামী-স্ত্রী দু’জনেরই উচিত নিজেকে বোঝা। তাই তাদের নিজেদের বোঝার জন্য, সম্পর্কটা আরও মধুর করার জন্য মেনে চলুন কয়েকটি সহজ উপায়—
* একে অপরকে বোঝার চেষ্টা করুন।
* ব্যস্ততা তো থাকবেই, তার মধ্য থেকে একটু হলেও সময় বের করে খোঁজখবর নিন।
* জন্মদিনটা ভুলেও ভুলে যাবেন না, তাহলে কিন্তু বিপদ। তাই জন্মদিনটা মোবাইলে সেভ করে রাখুন। তেমন বিবাহবার্ষিকী বা বিশেষ দিনগুলো।
* পরিবারের অন্যদের একে অপরের ভাললাগা মন্দ লাগা সম্পর্কে জানিয়ে দিন। তার ভাল লাগা মন্দ লাগাকে প্রাধান্য দিন।
* কোনো কিছু গোপন করবেন না। নিজেরা না বলে অন্যরা কেউ বললে তাতে সমস্যা বাড়বে, বৈ কমবে না! তাই নিজেদের সমস্যা নিজেরা মিটিয়ে নিন।
* কোনো ভুল করলে স্বীকার করে নিন। একে অপরের ভুল ভাঙাতে সাহায্য করুন।
* কোনো ভালো কাজ করলে তার জন্য অবশ্যই প্রশংসা করবেন।
* নিজের পরিবারকে প্রাধান্য না দিয়ে একে অন্যের পরিবারের মানুষের সঙ্গে সদ্ভাব করুন। ফোনে কথা বলুন। খোঁজখবর নিন।
* খেয়াল রাখুন সে কাকে বেশি পছন্দ করে, তাকে আপনিও প্রাধান্য দিন। দু’জনই এ পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন।
* দু’জন এক সঙ্গে না বলে, এক জন বললে আরেক জন শুনুন। মাথা ঠাণ্ডা হয়ে এলে পরে বুঝিয়ে বলুন। তখন ভুলগুলো বুঝতে সহজ হবে।
পদ্ধতিগুলো একটু চেষ্টা করলেই মেনে চলা যায়। আর মেনে চললে দেখবেন সংসার কতটা সুখময় হয়ে ওঠ। তাই একে অপরকে বুঝুন, সর্বোপরি একে অন্যকে শ্রদ্ধা করুন আর ভালোবাসুন নির্ভেজাল ভাবে।

(ওএস/এএস/ডিসেম্বর ১১, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test