E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

কথা বলা শালিক পাখি!

২০১৬ সেপ্টেম্বর ০১ ১৮:৫৯:৩৭
কথা বলা শালিক পাখি!

পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি : ‘ঐ ছুয়া...,এ মা..., এ সোহেল...,মামুনি..মামুনি।’ ‘ভাত দে...,কি রে’। এই রকম অল্প অল্প করে শিশুদের মতোই কথা বলতে পারে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার খিদ্রগড়গাঁও গ্রামের সেলিম রেজার ‘জন’ নামে পোষা শালিক পাখিটি।

শালিক পাখির মুখে শিশুর মতো কথা শুনতে প্রতিনিয়তই বিভিন্ন বয়সী মানুষের ভিড় জমে সেলিমের বাড়ির আঙিনায়। দেখতে যাওয়া মানুষদের পাখিটিও শুনিয়ে দেয় এমন কথা ও ডাক । সাধারণত টিয়া, ময়না বা কাকাতুয়া পাখিই মানুষের মতো কথা বলতে পারে। কিন্তু বনে বনে ঘুরে বেড়ানো শালিক পাখি কীভাবে কথা বলে! সম্প্রতি এক দুপুরে সেলিমের বাড়িতে গিয়ে তাঁর প্রমাণ মিলেছে, আসলেই শালিক পাখিটি কথা বলতে পারে। বাড়ির সবাই পাখিটিকে ‘জন’ নামে ডাক দিলে সেও ‘জন’ বলে। সেলিমের বাড়ির লোকজনের নাম পাখিটি এখন বলতে পারে। খাঁচায় বন্দি জীবন নয়, এই পাখিটি সারাদিন নিজের ইচ্ছে মতো যেখানে সেখানে উড়ে বেড়ায়। সন্ধ্যা হলে আবার বাড়িতে ফিরে আসে। এমনই বলছিলেন পাখিটির মালিক সেলিম রেজা।

তিনি বলেন, ‘পাখিটি ডিম, মাংস, ভাত, চানাচুর, মুড়ি খায়। আমরা যখন খেতে বসি তখনই উড়ে এসে আমাদের পাশে বসে।’ পাখিটিকে কথা শিখাতে তাঁর ২ থেকে ৩ মাস লেগেছে বলে জানায়।

সে আরও জানায়, পাশের হরিপুর উপজেলার এক গাছ থেকে বাচ্চা বয়সে এই পাখিটি এনেছিল সাড়ে তিন বছর আগে। পোষ মানাতে মানাতে এক সময় শিশুদের মতো কথা বলা শুরু করে এই শালিক পাখিটি।’ দুই বছর আগে এই পাখিটি একবার অসুস্থ হয়ে পড়ায় সেলিমের ছোট ভাইও পাখিটির জন্য অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। এখন পাখিটি তাদের পরিবারের সদস্যের মতোই বলে জানায় সেলিম। এই শালিকটি কিনতে এরই মধ্যে অনেকে তাঁর বাড়িতে এসেছেন। তবে সেলিম জানান, এই পাখি কোন দিনই সে বিক্রি করবে না। শালিক পাখিটি এখন যেন সেলিমের বন্ধু।

(এআরএইচ/এএস/সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

২৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test