E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সিভিতে যা কখনো লিখবেন না

২০১৪ জুন ২৯ ১৭:১৪:৪২
সিভিতে যা কখনো লিখবেন না

নিউজ ডেস্ক : পড়াশোনা শেষ, এবার চাকরি খোঁজার পালা। আর চাকরি খোঁজার আগে প্রথমেই যে কাজটি করতে হবে তা হলো সিভি বা বায়োডাটা তৈরি করা। তারপর বিজ্ঞপ্তির সুবাদে সেই সিভি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পাঠানো।

জীবন বৃত্তান্ত বা সিভি দেওয়ার পরও অনেক সময় প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায় না। এমনটা অনেকের বেলায়ই ঘটে। এমন হলে ধরে নেওয়া যায়, নিয়োগকর্তা কোনো কারণে আপনার সিভি বাদ দিয়েছেন। নিয়োগকারীরা প্রতিটি সিভি দেখার জন্য গড়ে মাত্র ছয় সেকেন্ড সময় ব্যয় করেন। আপনি হয়তো চাকরির জন্য উপযুক্ত ব্যক্তি ছিলেন। কিন্তু সিভিতে তা সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারেননি। কিংবা অতিরিক্ত নানা বিষয়ের উল্লেখে আপনার সিভির আসল জিনিসই তারা খুঁজে পাননি।

তাই জেনে নিন যে ১১টি অতিরিক্ত বিষয় সিভিতে না লেখায় ভালো-

১. অবজেক্টিভ : অনেকেই সিভিতে ক্যারিয়ারের উদ্দেশ্য বা এ ধরনের একটি পয়েন্ট যোগ করেন। কিন্তু আপনি যেহেতু একটি চাকরির জন্য সিভি জমা দিয়েছেন, তাই ধরে নেওয়া যায় যে, সেই চাকরিতেই আপনি ক্যারিয়ার গড়তে চান। এক্ষেত্রে বিষয়টি নতুন করে উল্লেখ করার কোনো কারণ নেই।
তবে আপনি যদি বর্তমানে একটি ক্ষেত্রে কাজ করছেন এবং সে ক্ষেত্র ত্যাগ করে ভিন্ন ধরনের কোনো প্রতিষ্ঠানে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করছেন, সেক্ষেত্রে এ ধরনের ব্যাখ্যা দেওয়া যেতে পারে।


২. অপ্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা : আপনার চাকরির জন্য প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতাগুলোই উল্লেখ করুন। ধরুন একটি আইটি ফার্মে চাকরির আবেদন করছেন। সেখানে রেস্টুরেন্টে খণ্ডকালীন চাকরির অভিজ্ঞতা উল্লেখ করার প্রয়োজন নেই।


৩. ব্যক্তিগত বিষয় : আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলোই শুধু সিভিতে উল্লেখ করুন। আপনার ভোটার আইডি নম্বরের মতো বিষয়গুলো উল্লেখ করার কোনো প্রয়োজন নেই।


৪. আপনার শখ : আপনার কি কি শখ আছে, তা দেখে আপনাকে কেউ চাকরি দেবে না। এগুলো দেখার মতো সময় কোনো নিয়োগকর্তার নেই। আর এসব জিনিস যতটা সম্ভব বাদ দেওয়াই ভালো।


৫. আমি, আমরা : আপনার সিভিতে কখনোই ‘আমি’, ‘আমার’, ‘সে’ -এসব কথা ব্যবহার করা উচিত নয়। অর্থাৎ ‘ফার্স্ট পার্সন’ ও ‘থার্ড পার্সন’ ব্যবহার করা যাবে না। সিভিতে উল্লেখিত সবকিছুই আপনার বিষয়ে লেখা, এটা নিয়োগকর্তারা জানেন। নতুন করে উল্লেখ করার নেই।


৬. ইমেইলের অপেশাদারী পরিচয় : আপনার ইমেইল অ্যাড্রেসে যদি অপেশাদারী ভাব থাকে তাহলে তা বাদ দিন। [email protected] বা [email protected], কিংবা [email protected] -এসব ই-মেইল বন্ধুদের দেওয়া গেলেও পেশাদার জীবনের উপযুক্ত নয়।


৭. বর্তমান চাকরির যোগাযোগের ঠিকানা : ধরুন, আপনি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন আর সেই অফিস থেকে আপনাকে ইমেইল ও ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে। অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য আবেদন করলে আপনার সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে এসব ব্যবহার করবেন না। কারণ তারা আপনাকে মেইল দিলে কিংবা ফোন করলে এগুলো আপনার বর্তমান নিয়োগকর্তার নজরে থাকবে। আর এতে আপনার ওপর দুর্যোগ নেমে আসাও অস্বাভাবিক নয়।


৮. বেতন : আপনি বর্তমানে যে চাকরি করছেন, সেখানকার বেতনের কথা সিভিতে উল্লেখ করার প্রয়োজন নেই। আর ভবিষ্যতে যে বেতন চান, তাও উল্লেখ করার কোনো প্রয়োজন নেই। ইন্টারভিউতেই এসব আলাপ সেরে ফেলা ভালো।


৯. ফন্ট : ‘টাইমস নিউ রোমান’ কিংবা এ ধরনের পুরনো ফন্টগুলো এখন আর তেমন একটা ব্যবহার হয় না। তার বদলে পরিষ্কার লেখাযুক্ত কোনো ফন্ট ব্যবহার করাই ভালো। মানসম্মত ফন্টের মধ্যে রয়েছে ‘এরিয়াল’। তবে ফন্ট সাইজের দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। লেখাগুলো যেন চোখে না লাগে, আবার ঠিকঠাক পড়াও যায়, এমন সাইজই ব্যবহার করা উচিত।


১০. অবাঞ্ছিত শব্দ : "best of breed," "go-getter," "think outside the box," "synergy," কিংবা "people pleaser"-এসব শব্দ অনেকেই ভাষায় ব্যবহার করেন। কিন্তু সিভিতে উল্লেখ করা হলে তা নিয়োগকর্তার কাছে বেমানান বলে মনে হতে পারে।


অবাঞ্ছিত শব্দগুলো যেমন নিয়োগকর্তার অপছন্দ, তেমন "achieved," "managed," "resolved," কিংবা "launched" শব্দগুলো নিয়োগকর্তার প্রিয়। এ ধরনের শব্দগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে তা নিঃসন্দেহে কাজে আসবে।


১১. রেজাল্ট : স্কুল থেকে বের হয়ে যাওয়ার কিছুদিন পর আপনার সেসব রেজাল্ট খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আপনি যদি সবে স্কুল বা কলেজ পার হয়ে থাকেন তাহলে সেটা লিখতে পারেন। কিন্তু পাঁচ বছর পরেও এসব লেখার কোনো মানে হয় না।

(ওএস/এটিআর/জুন ২৯, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

০৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test