সাংবাদিক নান্নুর মৃত্যু : মামলার তদন্তভার ডিবিতে

স্টাফ রিপোর্টার : অগ্নিদগ্ধ হয়ে দৈনিক যুগান্তরের অপরাধবিষয়ক সাংবাদিক মোয়াজ্জেম হোসেন নান্নুর মৃত্যুর ঘটনায় স্ত্রীর করা ইউডি মামলা ও বড় ভাইয়ের করা হত্যা মামলাসহ ঘটনার রহস্য উদঘাটনের ভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়েছে।

শনিবার (৪ জুলাই) বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম বলেন, ‘কমিশনার স্যারের নির্দেশে মোয়াজ্জেম হোসেন নান্নুর অগ্নিদগ্ধ মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলার তদন্তভার ডিবি গুলশান বিভাগে ন্যস্ত করা হয়েছে।’

এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান জানান, আমাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এখনও তদন্ত কাজ শুরু করতে পারিনি। তদন্ত শুরুর জন্য মামলা নিয়ে হোমওয়ার্ক করা হচ্ছে।

তদন্তের স্বার্থে পরিবার, স্ত্রী ও সাংবাদিক সহকর্মীদের সহযযোগিতা কামনা করেন তিনি।

উল্লেখ্য, আফতাবনগরের জহিরুল ইসলাম সিটির ৩ নম্বর সড়কের বি ব্লকের ৪৪/৪৬ নম্বর বাসার দশম তলায় স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করতেন সাংবাদিক নান্নু। গত ১২ জুন ভোর পৌনে ৪টার দিকে সেখানে রহস্যজনক আগুনে তিনি গুরুতর দগ্ধ হন।

সাংবাদিক নান্নুকে গুরুতর অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। ১৩ জুন সকাল ৮টা ২০ মিনিটে সেখানে আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় তার স্ত্রী শাহীনা হোসেন পল্লবী বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেন।

গত ২৯ জুন স্ত্রী শাহিনা হোসেন পল্লবী এবং তার শাশুড়ির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন নান্নুর বড় ভাই মো. নজরুল ইসলাম খোকন। মামলা নম্বর ৩৮।

মামলার এজাহারে বাদী মো. নজরুল ইসলাম খোকন নান্নুর অগ্নিদগ্ধ হওয়ার ঘটনাটি রহস্যজনক উল্লেখ করে বলা হয়, ‘নান্নুর স্ত্রী পল্লবী ও শাশুড়ি শান্তা গত ১১ জুন রাতে বাসায় লাগা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেননি। দগ্ধ নান্নু নিজেই ১০ তলা থেকে হেঁটে নিচে নামেন। সেখানে আশপাশের ফ্ল্যাট মালিকরা নান্নুকে হাসপাতালে নিয়ে যান।’

এর আগে মাত্র ছয় মাস আগে গত ২ জানুয়ারি ওই একই বাসায় বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হয়ে তাদের একমাত্র সন্তান মিউজিক ডাইরেক্টর স্বপ্নীল আহমেদ পিয়াস (২৪) প্রাণ হারান। সেসময় ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন মোয়াজ্জেম হোসেন নান্নু।

(ওএস/এসপি/জুলাই ০৪, ২০২০)