E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

তানুর বিরুদ্ধে মামলা বাতিলের দাবি মার্কিন সাংবাদিক সংগঠন সিপিজের

২০২১ জুলাই ১৪ ১৭:৫৪:৩৭
তানুর বিরুদ্ধে মামলা বাতিলের দাবি মার্কিন সাংবাদিক সংগঠন সিপিজের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের খাবার পরিবেশনে অনিয়মের সংবাদ করায় জাগোনিউজ২৪.কম-এর জেলা প্রতিনিধি তানভীর হাসান তানুসহ তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ‘কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস’ (সিপিজে)। এই আইন সাংবাদিকদের হয়রানির জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে উল্লেখ করে তা দ্রুত বাতিলেরও আহ্বান জানিয়েছে নিউইয়র্ক-ভিত্তিক সংগঠনটি। প্রায় তিন দশক ধরে বিশ্বজুড়ে নিপীড়িত সাংবাদিকদের তথ্য নিয়ে কাজ করে আসছে সিপিজে।

গত সোমবার এক প্রতিবেদনে ‘কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস’ জানিয়েছে, গত ১০ জুলাই বাংলাদেশের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে গণমাধ্যমের কয়েকটি এবং পুলিশের একটি প্রতিবেদন তারা পর্যালোচনা করেছে।

এসব সূত্র থেকে জানা গেছে, জাগোনিউজ২৪.কম, দৈনিক ইত্তেফাক ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি তানভীর হাসান তানু, নিউজবাংলা২৪.কমের প্রতিনিধি রহিম শুভ এবং যুগান্তর, বাংলাদেশ প্রতিদিন ও নিউজ২৪ টেলিভিশনের প্রতিনিধি আব্দুল রতিফ লিটুর বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে কর্তৃপক্ষ।

গত ১০ জুলাই সদর থানায় খবর সংগ্রহে গেলে পুলিশ তানুকে গ্রেফতার করে। পরে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা থাকায় তাকে সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরের দিন জামিনে মুক্তি পান জাগোনিউজ২৪.কমের এ সাংবাদিক। এসবের পাশাপাশি হাসপাতালের বেডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তানুর হাতে পুলিশ হাতকড়া পরিয়ে রাখার কথাও বিশেষভাবে উল্লেখ করেছে সিপিজে। সাংবাদিক শুভ সংগঠনটিকে জানিয়েছেন, তাকে এবং সাংবাদিক লিটুকে গ্রেফতার করা হয়নি।

এ ঘটনায় সিপিজের এশিয়া প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর স্টিভেন বাটলার বলেছেন, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের উচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তানভীর হাসান তানু, রহিম শুভ এবং আব্দুল লতিফ লিটুর বিরুদ্ধে তদন্ত তাৎক্ষণিকভাবে বাদ দেয়া। বাংলাদেশ সরকারকে অবশ্যই এই আইন বাতিল, সাংবাদিকদের হয়রানি বন্ধ এবং তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে। সাংবাদিকতা অপরাধ নয়, এটি একটি জনসেবামূলক কাজ বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

সিপিজের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট নাদিরুল আজিজ চপলের দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে এই তদন্ত শুরু হয়। তিনি অভিযোগ করেছেন, সাংবাদিকরা শত্রুতা ও বিদ্বেষ ছড়ানোর উদ্দেশ্যে ওই হাসপাতাল সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলেন।

মামলার এজাহারে ৫ জুলাই জাগোনিউজে, ৮ জুলাই নিউজবাংলায় এবং ৭ জুলাই যুগান্তরে প্রকাশিত তিনটি প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে করোনা রোগীদের নিম্নমানের খাবার সরবরাহের খবর ছিল এসব প্রতিবেদনে।

এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে নাদিরুল আজিজ চপলকে টেক্সট মেসেজ পাঠিয়েছিল সিপিজে, তবে তিনি তাতে সাড়া দেননি বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। সিপিজের পক্ষ থেকে ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ডালিম কুমারের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছিল বলে জানানো হয়েছে। তার কাছ থেকেও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।

(ওএস/এসপি/জুলাই ১৪, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

২৪ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test