E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

একুশে টেলিভিশনের চিফ রিপোর্টার হিসেবে দায়িত্ব পেলেন অখিল পোদ্দার

২০১৫ জানুয়ারি ১৭ ১১:২০:৪১
একুশে টেলিভিশনের চিফ রিপোর্টার হিসেবে দায়িত্ব পেলেন অখিল পোদ্দার

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার কৃতিসন্তান একুশে টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি অখিল পোদ্দার চিফ রিপোর্টার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।

১৪ জানুয়ারি একুশে টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল আলম স্বাক্ষরিত চিঠিতে তাঁকে এ নিয়োগ দেয়া হয়। ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে যোগদান করেছিলেন অখিল পোদ্দার। এত দিন তিনি একুশে টিভির অপরাধ বিটের প্রধান ছিলেন। অখিল পোদ্দার পড়ালেখা করেছেন বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে। মাস্টার্সে অর্জন করেন দ্বিতীয় শ্রেণীতে প্রথম স্থান। বুদ্ধদেব বসুর নাটকে বিষয় বিবেচনা ও জীবনবোধ’ শিরোনামে পি.এইচডি ডিগ্রি অর্জনের জন্য ইতোমধ্যে জমা দিয়েছেন অভিসন্দর্ভ। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতেই সাংবাদিকতার হাতেখড়ি তাঁর। কাজ করেছেন ভোরের কাগজ আর জনকণ্ঠে। একুশে টেলিভিশনে ‘জনদুর্ভোগ’ শিরোনামে অনুসন্ধানী রিপোর্ট করে বেশ সুনামও কুড়িয়েছেন তিনি। বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষের দুর্ভোগ-দুর্দশা, সামাজিক অপরাধ, অনিয়মের আদ্যোপান্ত প্রতিনিয়ত একুশের পর্দায় তুলে ধরে অর্জন করেছেন যথেষ্ট জনপ্রিয়তা।

সাধারণ মানুষের ভোগান্তি, দুঃখ দারিদ্র নিয়ে কাজ করতেই বেশি পছন্দ তাঁর। স্বাচ্ছন্দবোধ করেন দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় ঘুরেফিরে অনুসন্ধানী রিপোর্ট করতে। উত্তরবঙ্গের মঙ্গা নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদনের জন্য পেয়েছেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি পুরস্কার। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সেরা রিপোর্টের জন্য স্বাধীন বাংলা সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার। সেরা ক্রাইম রিপোর্টার হিসেবে এ ওয়ান মিডিয়া পুরস্কার পেয়েছেন দু’বছর আগে। সমুদ্রপারের পটুয়াখালীর গলাচিপার চরাঞ্চলের জীবনযুদ্ধ নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন ‘চরের জীবন চরের জমি’র জন্য পেয়েছেন মোনাজাত উদ্দিন স্মৃতি পুরস্কার। সমাজের গুচ্ছ অপরাধের শেকড় সন্ধান করায় টেলিভিশন থেকে প্রথমবারের মতো পেয়েছেন পিআইবি-সোহেল সামাদ পুরস্কার-২০১২।

২০১১ সালে পেয়েছেন ইউনেস্কো পুরস্কার। সেরা টিভি রিপোর্টার হিসেবে পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র ফোবানার (ফ্লোরিডা) বাঙালি এওয়ার্ড ও পশ্চিমবঙ্গ কেবল টিভি অপারেটরদের পুরস্কার। আমেরিকা প্রবাসীদের জীবনযুদ্ধ আর প্রতারণার নানা কৌশল নিয়ে রিপোর্ট করায় আটলান্টা-জর্জিয়ার প্রবাসী সম্মাননা পেয়েছেন ২০১১ সালে। রিপোর্টিংয়ের কারণে ঘুরেছেন উত্তর আমেরিকার ১৩ টি রাষ্ট্র, ইউরোপের জার্মান, মধ্যপ্রাচ্যের দুবাই, জর্ডান, থাইল্যান্ড, শ্রীলংকা, মালয়েশিয়া। খবরের সুতো ধরে বেশ ক’বার ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে গেছেন।

(কেকে/পি/জানুয়ারি ১৭, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test