E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ছাড়া গণতন্ত্র অর্থহীন’

২০১৬ মে ২৬ ১৫:২০:১৫
‘সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ছাড়া গণতন্ত্র অর্থহীন’

স্টাফ রিপোর্টার : প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ছাড়া গণতন্ত্র অর্থহীন। বুধবার সন্ধ্যায় বাংলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ’ পত্রিকার নবযাত্রা উপলক্ষে আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ছাড়া গণতন্ত্র অর্থহীন। রাষ্ট্র যখন বাক স্বাধীনতা, ব্যক্তি স্বাধীনতা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারে তখনই বলা যায় যে, একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে গণতন্ত্র গুণগত এবং দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আশা করি, বিচার বিভাগের কার্যক্রম সম্পর্কে সংবাদ ও মিডিয়া গঠনমূলক ও ন্যায্য সমালোচনা করবে। বিদ্বেষপ্রসূত হয়ে বিচার বিভাগকে হেয় প্রতিপন্ন করা কোনোভাবেই কাম্য নয়’।

তিনি আরো বলেন, ‘রাষ্ট্র পরিচালনায় বিচার বিভাগের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগ স্বাধীন না হলে রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠা পায় না। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন সাংবাদিকরা। ফলে বিচার বিভাগ ও সাংবাদিকদের মধ্যে সুসম্পর্ক অত্যাবশ্যক। প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে বিচার বিভাগ ও বিচারপ্রার্থী জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি এবং লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ইত্যাদি বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেতন করার গুরু দায়িত্ব পালন করে আসছে।’

তিনি বলেন, ‘মিডিয়া বিচার বিভাগের বিভিন্ন কার্যক্রম বিষয়ে সময়োপযোগী সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে নিরন্তর সহযোগিতা করে বিচার বিভাগের যুগান্তকারী সংস্কার সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তবে কিছু কিছু সংবাদপত্র ব্যক্তিগত বিদ্বেষ, একপেশে খবর, অদূরদর্শী এবং পত্রিকার কাটতি বাড়ানোর জন্য নৈতিকতা বিবর্জিত সংবাদ প্রচার করে বিচার বিভাগ ও জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে। অনেক সময় মিডিয়া ট্রায়ালের ফলে বিচারক এবং বিচারপ্রার্থী জনগণ বিব্রত হন, যা অনভিপ্রেত এবং অনাকাঙ্ক্ষিত।’

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘সমাজে তথা রাষ্ট্রে ক্রমাগত উগ্রতা ও অসহিষ্ণুতা ছড়িয়ে পড়ছে। মানুষের মধ্যে সহিষ্ণুতা আশ্চর্যজনকভাবে লোপ পাচ্ছে। এ উগ্রতা এবং অসহিষ্ণুতা মোকাবেলায় মানুষকেই এগিয়ে আসতে হবে। মানুষের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধ জাগিয়ে তুলতে হবে। পরস্পরের প্রতি সহনশীলতা সৃষ্টি করতে মানুষের শুভবোধগুলোকে সামনে নিয়ে আসতে হবে। সন্ত্রাসবাদ জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। সাংবাদিকরা ক্ষুরধার লেখনির মাধ্যমে এর বিরুদ্ধে ব্যাপক জনমত গঠন করতে অনন্য ভূমিকা রাখতে পারেন’।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রকাশক মো. তাজুল ইসলাম এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এমপি। স্বাগত বক্তব্য দেন পত্রিকাটির সম্পাদক আবু সাইদ খান।

(ওএস/এএস/মে ২৬, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

০৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test