E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মেয়ে-জামাইয়ের নিয়োগ নিয়ে মুখ খুললেন রাবি উপাচার্য

২০২০ অক্টোবর ২৫ ১৭:১৮:২৫
মেয়ে-জামাইয়ের নিয়োগ নিয়ে মুখ খুললেন রাবি উপাচার্য

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রশাসনের অনিয়ম নিয়ে ইউজিসির তদন্ত প্রতিবেদন একপেশে ও পক্ষপাতমূলক বলে দাবি করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত কিছু প্রতিবেদন সম্পর্কে নিজের অবস্থান জানাতে রোববার সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন তিনি। বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি।

উপাচার্য বলেন, যেকোনো আমলযোগ্য অভিযোগের তদন্ত বাঞ্চনীয়। আমি তদন্তের বিপক্ষে নই। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহ যথাযথ হলে তা তদন্তে একশভাগ সম্মত আছি। তবে সেই তদন্ত হতে হবে যথাযথ প্রক্রিয়ায় বা আইনসিদ্ধভাবে গঠিত পক্ষপাতহীন তদন্ত কমিটির মাধ্যমে। এ বিষয়ে আমি স্পষ্টভাবে গত ০৯ সেপ্টেম্বর ইউজিসি’র চেয়ারম্যানকে পত্র দিয়ে জানিয়েছিলাম।

উপাচার্য আরও বলেন, আমি আশা করেছিলাম সেই পত্র বিবেচনায় নিয়ে চেয়ারম্যান পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। কিন্তু বাস্তবে তা ঘটেনি। বরং আমি মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি ইতোমধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। বলাবাহুল্য প্রতিবেদনটি তাই একপেশে এবং পক্ষপাতমূলক।

প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে উপাচার্য এসব অভিযোগের বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করেন।

এছাড়া ইউজিসির তদন্ত প্রতিবেদনে মেয়ে-জামাইকে নিয়োগ দেয়ার জন্য শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা পরিবর্তন করার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ৪৭২তম সিন্ডিকেট সভার ৪৩নং সিদ্ধান্তে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহার নেতৃত্বে সিন্ডিকেট সদস্য, ডিন ও শিক্ষক সমিতির সভাপতিসহ ০৭ জনকে নিয়ে সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষক নিয়োগ নীতিমালা পুনঃপ্রণয়ণকল্পে একটি কমিটি গঠন করা হয়।

চার মাস পর কমিটির সুপারিশে শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা পুনঃপ্রণয়ণ করা হয়। এই নীতিমালায় অনেক বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে। কিন্তু মেয়ে-জামাই নিয়োগ পাওয়ার পরই অভিযোগ তোলা হয়েছে মেয়ে-জামাইকে নিয়োগ দেয়ার জন্যই নিয়োগ নীতিমালা পরিবর্তন করা হয়। অশুভ রাজনীতিতে জড়িয়ে গেছে এমন একটি চক্র আমার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো এনেছে।

উপাচার্য বলেন, সংবাদপত্রের প্রকাশিত বিভিন্ন তথ্যে জানতে পেরেছি আমার অর্থের অনুসন্ধান করা হবে। বাংলাদেশের যেকোনো সংস্থা আমার অর্থের অনুসন্ধান করতে পারে। সেই সৎসাহস আমার আছে।

নিজে থেকেই পদত্যাগ করবেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে সরে যাওয়াটা অপ্রাসঙ্গিক বলে উত্তর করেন উপাচার্য। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে কোনো নির্দেশনা এলে তিনি তো আর উপাচার্য পদে থাকতে পারবেন না বলেও মন্তব্য করেন।

এদিকে ইউজিসির তদন্ত কমিটিকে একপেশে ও অবৈধ দাবি করার বিষয়ে কমিটির আহ্বায়ক দিল আফরোজা বেগম বলেন, আমরা তদন্ত প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছি। রাবি ভিসির কোনো অভিযোগ থাকলে তিনি সেটা ওই মন্ত্রণালয়ে দেবেন। তারা তা বিবেচনা করবে।

(ওএস/এসপি/অক্টোবর ২৫, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test