E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

জবিতে ডে-কেয়ার সেন্টার থাকলেও জানেন না শিক্ষার্থীরা

২০২২ জুন ০৪ ১৩:০৪:১০
জবিতে ডে-কেয়ার সেন্টার থাকলেও জানেন না শিক্ষার্থীরা

স্টাফ রিপোর্টার : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শিশুদের জন্য চালু রয়েছে ডে-কেয়ার সেন্টার। কিন্তু ডে-কেয়ার থাকলেও বিষয়টি না জানার কারণে সুবিধা পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা।

গত ৩১ মে শিক্ষকের কোলে সন্তান রেখে এক ছাত্রীর পরীক্ষা দেওয়ার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওই ছবিতে দেখা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ছাত্রী ফাতেমা আক্তারের মেয়ে কোলে নিয়ে হলে দায়িত্ব পালন করছেন সহকারী অধ্যাপক কামরুল ইসলাম। পরীক্ষার সময় ছোট বাচ্চাকে রাখার কেউ না থাকায় এগিয়ে আসেন ওই শিক্ষক।

এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডে-কেয়ার সেন্টার থাকলেও বিষয়টি জানেন না বলে জানিয়েছেন ফাতেমা আক্তার। শুধু ফাতেমা নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থীই ডে-কেয়ার সেন্টার সম্পর্কে জানেন না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ডে-কেয়ার সেন্টার থেকে জানা যায়, ছুটির দিন ছাড়া সেন্টারটি প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকে। ডে-কেয়ার সেন্টারে শিশুদের জন্য থাকা, খাওয়া, ঘুমানো, প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থা, খেলাধুলা, বিনোদন ও প্রি-স্কুল সুবিধা রয়েছে। সেন্টারটিতে আটটি রুম রয়েছে। সেখানে ২৫ থেকে ৩০ জন শিশু রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিদিন সেখানে গড়ে ১০ থেকে ১৫ জন বাচ্চা থাকে। বাচ্চাদের সার্বক্ষণিক দেখা-শোনা করার জন্য তিনজন আছেন। তবে সেখানে শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাচ্চারা রাখলেও শিক্ষার্থীরা রাখেন না।

জবির ডে-কেয়ার সেন্টারের তত্ত্বাবধায়ক শাকিলা জামান সুবর্ণা বলেন, আমাদের এখানে অনেক বাচ্চাদের রাখার সুবিধা আছে। শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের বাচ্চা রাখেন। তবে শিক্ষার্থীরা বাচ্চা রাখেন না। এর মূল কারণ হতে পারে, এ সুবিধার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের জানা না থাকা।

তিনি আরও বলেন, ডে-কেয়ার সেন্টারে ভর্তিকৃত এক থেকে দু’বছর বয়সী শিশুদের জন্য মাসে দুই হাজার টাকা ও দুই থেকে পাঁচ বছরের শিশুদের জন্য মাসে এক হাজার টাকা সার্ভিস চার্জ দিয়ে সেবা নিয়ে পারবেন। যদি কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি ছাড়া খণ্ডকালীন জন্য তাদের বাচ্চাদের রাখতে চান, তাহলে আলাদাভাবে ফি দিতে হবে।

ডে-কেয়ার সেন্টারের আহ্বায়ক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুস সামাদ বলেন, শিক্ষার্থীদের ডে-কেয়ার সম্পর্কে জানানোর জন্য প্রতিটি বিভাগে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। বিভাগগুলো ভালোভাবে প্রচারণা করলে শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে জানতে পারবেন। ডে-কেয়ার সেন্টারে আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা থাকলেও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি শিশুদের ভালো সেবা দেওয়ার জন্য। এখানে থাকা শিশুদের সঠিক পরিচর্যা নিশ্চিত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য এ ডে-কেয়ার সেন্টার ৭ মে ২০১৮ সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান উদ্বোধন করেন।

(ওএস/এএস/জুন ০৪, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

২৪ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test