E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকসহ ৬ গেটে ছাত্রদলের তালা

২০২৩ নভেম্বর ০১ ১২:৪১:১৪
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকসহ ৬ গেটে ছাত্রদলের তালা

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি বাস্তবায়নে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মূল ফটকসহ ছয়টি গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে শাখা ছাত্রদল। পাশাপাশি গেটগুলোতে ‘সর্বাত্মক অবরোধ’ লেখা ব্যানার ঝুলিয়ে দিয়েছেন তারা।

বুধবার (১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। এ সময় গেরুয়া বাজার সংলগ্ন গেটটি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাকি ছয়টি গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন।

তালা ঝুলানোর বিষয়ে জাবি ছাত্রদলের নেতা নাইমুল হাসান কৌশিক বলেন, সরকার যত বেশি বাধা, হামলা ও মামলা দেবে- সরকারের ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গদের পতন ততো ভয়ঙ্কর হবে। আমরা সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত এই স্বৈরাচার সরকারকে রাজপথেই মোকাবিলা করবো। আমরা আজকের এ কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগকে হুঁশিয়ার করে বলতে চাই ক্যাম্পাসে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, ফাও খাওয়া বন্ধ করে শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখা এবং দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে তারা তাদের বিগত দিনের অন্যায়ের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। দেশের মানুষের এ আন্দোলনে পাশে থেকে তাদের কৃতকর্মের কিছুটা প্রায়শ্চিত্ত করবে। অন্যথায় তাদের রাজপথে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।

ছাত্রদল নেতা জুবায়ের আল মাহমুদ বলেন, স্বৈরাচার সরকারের পতনের দাবিতে আমরা আন্দোলন করছি। শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনের প্রতি সমর্থন আছে। তাই তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা জাবির প্রবেশ দুয়ারে তালা লাগিয়েছি।

এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর এস এম এ মওদুদ আহমেদ বলেন, আমি ব্যক্তিগত কাজেই সকালে বের হয়েছিলাম। মীর মশাররফ হোসেন হলের গেট দিয়ে বের হওয়ার সময় দেখি তালাবদ্ধ। পরে ডেইরি গেটে এসে দেখি সেখানেও তালা মারা ও ছাত্রদলের ব্যানার ঝুলছে। তবে কারা তালা লাগিয়েছে আমাদের চোখে পড়েনি। আমি দ্রুত তালা ভেঙে ফেলতে বলেছি। কারণ এরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসগুলো প্রবেশ করবে, শিক্ষার্থীরা ক্লাসে আসবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে নিরাপত্তা অফিসকে দ্রুত সবগুলো তালা ভেঙে ফেলতে বলেছি।

(ওএস/ এএস/নভেম্বর ০১, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

২৮ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test