E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধ

২০১৫ সেপ্টেম্বর ০৭ ১৮:২২:৪২
৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধ

স্টাফ রিপোর্টার : শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে না পারা এবং সাময়িক অনুমতি পত্রের শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় পাঁচটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

এর মধ্যে একটি বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চ আদালতের রায় নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পুনরায় চালু করেছে বলে সংসদে জানিয়েছেন শিক্ষমন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

সোমবার বিকেলে জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য এম এ হান্নানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব তথ্য জানান।

মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে ৮৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তবে শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে না পারায় ৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ২০০৬ সালে অবৈধ ঘোষণা করা হয়।

অবৈধ ঘোষিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হচ্ছে কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি, পুন্ড্র ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি, কুইন্স ইউনিভার্সিটি, সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটি।

এর মধ্যে সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটি উচ্চ আদালতে মামলা করে নিজেদের পক্ষে রায় পাবার পর সরকার কর্তৃক এসআরও প্রত্যাহার করায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ অনুযায়ী শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এছাড়া পুন্ড্র ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি এবং কুইন্স ইউনিভার্সিটি নিজেদের পক্ষে রায় পেলেও এখন পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার অনুমতি পায়নি। আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি সরকারের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করে স্টে অর্ডার নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তবে বন্ধকৃত কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি কোনো ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করছে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ইউজিসি’র যৌথ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বন্ধ ঘোষিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের ভর্তির যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে অনুমোদনপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অধ্যায়নের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

এ কে এম শাহজাহান কামালের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে ৩৩৩টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। তবে যেসকল জেলা উপজেলায় সরকারি কলেজ বা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় নেই সে সকল উপজেলায় একটি করে কলেজ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণের পরিকল্পনা রয়েছে। এ লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠন করেছে। এ কমিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্বাচন ও প্রতিবেদন তৈরির জন্য তথ্য সংগ্রহ করছে, এবং নীতিমালা প্রণয়ন কার্যক্রম চলছে।

(ওএস/অ/সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test