E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে ৩০০ শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর

২০১৫ ডিসেম্বর ২২ ১৮:৫৩:৩৫
রাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে ৩০০ শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর

রাবি প্রতিনিধি:রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ ও রোকেয়া হলের আবাসিক শিক্ষক এটিএম রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির সংবাদ প্রকাশের বিরুদ্ধে ২৮৯ জন শিক্ষার্থী ও ১০ জন শিক্ষক-কর্মচারী স্বাক্ষর দিয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে এ স্বাক্ষর সম্বলিত প্রতিবাদ কপিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দপ্তরে জমা দেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীর ও কর্মচারীরা।

এ দিকে যৌন হয়রানির সংবাদ প্রকাশে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক এটিএম রফিকুল ইসলাম একটি লিখিত প্রতিবাদ কপি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনের কাছে প্রেরণ করেন।

ঐ লিখিত প্রতিবাদ কপিতে তিনি উল্লেখ করেন, ‘গত ২৩ নভেম্বর ভাষা বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী শাপলা সুলতানা সরকার দলীয় ছাত্রসংগঠনের সাংগঠনিক পরিচয় দিয়ে অবৈধভাবে হল প্রশানের কাছ থেকে সিট বরাদ্ধের দাবি নিয়ে আসে। ঐ ছাত্রীর এ ধরনের অনৈতিক আবেদন হল কর্তৃপক্ষের পক্ষে আমি ও প্রাধ্যাক্ষ মহাদয় সিট প্রদানে অপরাগতা প্রকাশ করি। এ সময় আমরা বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে কোন ধরনের মন্তব্য করিনি। কিন্তু অনৈতিক ও ন্যাক্কারজনকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট অভিয্গোকারী ছাত্রী আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা,বানোয়াট ও কুরুচীপূর্ন বক্তব্য প্রদান করে গত ২০ ডিসেম্বর একটি লিখিত অভিযোগ পত্র দাখিল করে। যা সীট প্রাপ্তির ঔদ্ধত্য চেষ্টার একটি অপকৌশল বলেই আমার নিকট প্রতিয়মান হয়। আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীণ আভিযোগের ত্ব্রী নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

একইভাবে শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে আবাসিক হলের ১০ কর্মচারী ও ২৬৫ জন আবাসিক শিক্ষার্থী স্বাক্ষর দিয়েছেন এবং একইসাথে অভিযোগকারী ছাত্রীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।

উল্লেখ্য যে, গত রোববার, যৌন হয়রানীর শিকার ঐ ছাত্রী ভাষা বিভাগের (উর্দু) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ও রোকেয়া হল ছাত্রলীগ কর্মী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেন, গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের র‌্যালী শেষ করে আমার হলে ফিরতে দেরী হলে রোকেয়া হলের আবাসিক হলের ঐ শিক্ষক আমাকে প্রাধ্যক্ষের রুমে দেখা করতে বলেন। আমি রুমে গিয়ে দেখি স্যার একা বসে আছেন এবং প্রথমেই তিনি আমাকে বললেন, “শুধু ছাত্রলীগ করলেই কি হলে সিট হবে? হলের সিটের জন্য আমাদের কাছে আসতে হবে।” এসময় তার কথা বার্তায় এবং শারীরিক প্রকাশ ভঙ্গি ছিল অত্যন্ত আপত্তিকর ও অশোভনীয়।

(আইএইচএস/এস/ডিসেম্বর২২,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test