E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

অনশনরত শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়েই রাবির আইন বিভাগের পরীক্ষা শুরু

২০১৬ ফেব্রুয়ারি ১৫ ১৭:৪৩:৫৫
অনশনরত শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়েই রাবির আইন বিভাগের পরীক্ষা শুরু

রাবি প্রতিনিধি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগের প্রথম বর্ষের চুড়ান্ত পরীক্ষা সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শুরু হয়েছে। তবে ক্লাসে উপস্থিতি কোটা পূরণ না হওয়ায় বিভাগের ৫১ জন শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগের দাবিতে গত রবিবার বেলা ১১টা থেকে শিক্ষার্থীরা বিভাগের সামনে অনশন করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী, চ’ড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নিতে প্রত্যেক শক্ষার্থীকে ৭৫ শতাংশ ক্লাসে উপস্থিত থাকতে হয়। বিশেষ কারণে তা সম্ভব না হলে জরিমানা সাপেক্ষে পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া হয়। তবে সে ক্ষেত্রেও ৬০ শতাংশ উপস্থিতি থাকতে হবে।

বিভাগের শিক্ষকেরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মেনেই আমরা চলছি। ক্লাসে উপস্থিত না থাকার কারণেই তারা ডিসকলিজিয়েট (ফরম পূরণের জন্য অযোগ্য) হয়েছেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এর আগে শূন্য শতাংশ উপস্থিতি থাকলেও পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়েছে, তবে নতুন সভাপতি এসে কোনো রকম পূর্বঘোষণা ছাড়াই ক্লাসে ৬০ শতাংশ উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করেছেন। ফলে এ রকম হয়েছে। পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ ও পরীক্ষার সময় পরিবর্তনের দাবিতে রবিবার বেলা ১১টা থেকে বিভাগের সামনে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন ওই শিক্ষার্থীরা। দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী যাদের ৬০ শতাংশের নিচে ক্লাসে উপস্থিতি আছে তাঁরাও এ কর্মসূচিতে যোগ দেন। দ্বিতীয় বর্ষের আগামী ১৫ মার্চ চ’ড়ান্ত পরীক্ষা শুরু হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ।

সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় আইন বিভাগে দেখা যায়, যোগ্য পরীক্ষার্থীরা হলে গিয়ে বসেছেন। আর অনশনরত অর্ধশত শিক্ষার্থী বিভাগের কার্যালয়ের সামনের বারান্দায় শুয়ে আছেন। তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে অনুতপ্ত হয়ে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য শিক্ষকদের অনুরোধ জানান। তাঁদের কারণে বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আসা যাওয়া করতে পারছেন না। ফলে পরীক্ষার হলে প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র সরবরাহ করা হয় হলের পেছনে জানালা দিয়ে। সকাল ১০টার দিকে অনশনকারীদের মধ্যে প্রথম বর্ষের দু’জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর তারিকুল হাসান বলেন, আমি খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি যারা আন্দোলন করছে তাদের অধিকাংশই ক্যাম্পাসে আসার পরে ক্লাসে উপস্থিত না থেকে বাইরে আড্ডা দিয়েছে এখন পরিক্ষা দিতে না পারাই তারা অনশন পালন করছে এটা তাদের জন্য লজ্জার বিষয়। আমি তাদের সরতে বলেছি। তারা না সরলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আইন অনুষদের অধিকর্তা বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, এটা পুরাটাই একাডেমিক সিদ্ধান্ত। তাদের পরীক্ষা দেয়ার সুয়োগ দেয়া হচ্ছে না এটা একাডেমিক কমিটির মিটিং এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে আছে ৬০ পার্সেন্ট এর কম উপস্থিত হলে কোনো শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে পারবে না।

(ইএইচএস/এএস/ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test