E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বিসিএসে মৎস্যবিজ্ঞান ও প্রাণিবিদ্যা একত্রে করার প্রতিবাদে বাকৃবিতে বিক্ষোভ

২০১৬ মার্চ ০৯ ১৪:৪৬:৫৫
বিসিএসে মৎস্যবিজ্ঞান ও প্রাণিবিদ্যা একত্রে করার প্রতিবাদে বাকৃবিতে বিক্ষোভ

বাকৃবি প্রতিনিধি : ৩৭তম বিসিএস (মৎস্য) ক্যাডারে উপসহকারী পরিচালক পদে মৎস্যবিজ্ঞানের সাথে প্রাণিবিদ্যা সংযুক্তি করায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীরা। আগামী ১৩ মার্চের মধ্যে মৎস্য ক্যাডারের ওই সেক্টরে প্রাণীবিদ্যার গ্রাজুয়েটদের অর্ন্তভ’ক্তি বাতিল না করলে মৎস্যভবন ঘেরাও সহ কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, বুধবার সকাল ১১ টায় মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীরা ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে সমাবেত হয়। পরে সাড়ে ১১ টায় তারা বিশ্ববিদ্যালয় শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়নের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান সড়ক ও ছয়টি অনুষদ ভবন প্রদক্ষিণ করে পুণরায় শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়নের সামনে এসে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশের আয়োজন করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

মিছিল পরবর্তী সমাবেশে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে ৫ম অবস্থানে রয়েছে। আর এর একমাত্র দাবিদার মৎস্যবিদরা। অথচ তাদের মানক্ষুন্ন করে মৎস্য বিষয়ে যাদের সামান্য ধারণা নেয় তাদের সংযুক্ত করা হয়েছে। আমরা মৎস্যবিদরা এ সিদ্ধান্তকে মৎস্য খাতকে ধ্বংসের গভীর ষড়যন্ত্র বলে মনে করি। অনতিবিলম্বে মৎস্য ক্যাডারের উপসহকারী পরিচালক পদ থেকে প্রাণিবিদ্যা বাদ না দিলে দেশে সকল বিশ্ববিদ্যালয়য়ের মৎস্যবিদদের নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। আগামী ১৩ মার্চের মধ্যে দাবি না মানলে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আরও কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে। মৎস্য ভবন ঘেরাও করা হবে বলেও জানান অন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। সমাবেশে চতুথবর্ষের শিক্ষার্থী আরিফ আহমেদের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন ইমরান খান, রাশেদ, বিনতু প্রমুখ।

এদিকে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনের প্রতি একত্মতা প্রকাশ করে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুভাষ চন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, বর্তমানে দেশের ১২ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে মাৎস্যবিজ্ঞানের ডিগ্রী দেওয়া হয়। অথচ ৩৭তম বিসিএস (মৎস্য) ক্যাডারে উপসহকারী পরিচালক পদে প্রাণিবিদ্যা অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। কারিগরি ক্যাডারে লোকবল নিয়োগে শুধু ওই সেক্টরের শিক্ষার্থীদেরই প্রাধান্য দেয়া উচিত। আমরা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে যৌক্তিক মনে করি এবং তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির সাথে একত্মতা প্রকাশ করছি।


উল্লেখ্য, ২৯ ফেব্রুয়ারি ৩৭ তম বিসিএসের মৎস্য ক্যাডারের উপসহকারী পরিচালক পদে ৬৪ টি শূণ্য পদ উল্লেখ করে প্রজ্ঞাপনে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন। তবে ওই কারিগরি পদটিতে প্রথমবারের মত মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের গ্র্যাজুয়েটদের পাশাপাশি প্রাণিবিদ্যার গ্র্যাজুয়েটদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

(এসএস/এএস/মার্চ ০৯, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test