E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই’

২০১৬ মার্চ ০৯ ১৫:১১:৪৩
‘সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই’

রাবি প্রতিনিধি : এখন আর সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পার্থক্য করার অবকাশ নেই। সবাই শিক্ষা কার্যক্রমে অবদান রাখছে। উভয় ধারার শিক্ষার্থীরাই আমাদের সন্তান। সরকার তাদের মধ্যে কোনো পার্থক্য করে না। তবে আমাদের অবশ্যই শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে। এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ হতে হবে।’

রাজশাহীতে বেসরকারি বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার দুপুরে ‘বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’ উদযাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেভাবে চলে, আমরা এভাবে চলতে দিতে পারি না। আমাদের এই গতানুগতিক পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয় চললে বিশ্ববিদ্যালয়ে খেলাপড়া করার প্রয়োজন নেই, কলেজই যথেষ্ট। আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যাই, স্যার বা ম্যাডাম বক্তৃতা দেন, আমরা মোটামুটি শিখে পরীক্ষা দেই, পাস করে একটা সার্টিফিকেট নিয়ে বেরিয়ে আসি। আমাদের এই গতানুগতিক পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আমরা এই লক্ষ্যে নানা পদক্ষেপ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।’

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শুধু জ্ঞান-প্রযুক্তিতে শিক্ষিত হলেই হবে না। ভালো মানুষ হতে হবে। শিক্ষিত হওয়ার পাশাপাশি নৈতিকতা ও দেশপ্রেমের সমন্বয় না হলে মানবকল্যাণে কাজ করা সম্ভব না। তিনি দেশের নতুন প্রজন্মকে বিশ্বমানের মেধাবী বলে আখ্যায়িত করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এখন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বেশি। তারা শিক্ষায় অবদান রাখছে। তবে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে যেসব শর্ত দেওয়া হয়েছে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা পূরণ করতে হবে। শিক্ষার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশ নিশ্চিত করে নিজস্ব ক্যাম্পাস তৈরি করতে হবে।

রাজশাহী নগরীর খড়গড়ি বাইপাস এলাকায় বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত মূল ক্যাম্পাসে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে উপদেষ্টা প্রফেসর এম সাইদুর রহমান খান, সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ড. শাহ নওয়াজ আলী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মুহম্মদ মিজানউদ্দিন, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর রফিকুল আলম বেগ প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান। স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ওসমান গণি তালুকদার। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর নুরুল হোসেন চৌধুরী।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে একটি বর্ণাঢ্য শোভযাত্রা রাজশাহী শহর প্রদক্ষিণ করে। অনুষ্ঠানে দ্বিতীয় পর্বে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালে ৬টি বিভাগে ৮৭ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে তিনটি অনুষদে ১০টি বিভাগে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৩৫০০। আর শিক্ষক আছেন পূর্ণকালীন ১১৩ জন ও খন্ডকালীন ৩৬ জন। বর্তমানে তিনটি অস্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে বিশ্ববিদ্যালয়টি

(ইএইচএস/এএস/মার্চ ০৯, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test