E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ক্যাম্পাসের মেধাবী মুখ ড.আবু হায়াত মো. সাইফুল ইসলাম

২০১৬ নভেম্বর ০৫ ১৭:১১:২২
ক্যাম্পাসের মেধাবী মুখ ড.আবু হায়াত মো. সাইফুল ইসলাম

মো. শাহীন সরদার, বাকৃবি : বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মেধাবী মুখ বা ক্যাম্পাস হিরো বলা যেতে পারে ড. আবু হায়াত মো. সাইফুল ইসলামকে। তিনি কয়েকদিন আগে মেধার কৃতিত্বস্বরুপ পেয়েছেন ইউরোপিয়ান সাইন্স এওয়্যার্ড-২০১৬। শুধু বাংলাদেশী হিসেবেই নয় এশীয় মহাদেশের মধ্যে তিনিই প্রথম এই পুরষ্কার লাভ করেন।

রংপুরের পীরগঞ্জের ছেলে আবু হায়াত মো. সাইফুল ইসলাম। সাইফুল ইসলাম সাফল্যর সাথে রসুলপুর হাইস্কুল থেকে এসএসসি ও শাহ্ আবদুর রউফ কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। এরপর তিনি ২০০১-০২ সেশনে বাকৃবির কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদে ভর্তি হন। সাফল্যর সাথে তিনি স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হন। ২০০৬ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে গবেষক হিসেবে যোগদান করেন। এরপর ওই বছর তিনি স্নাতকোত্তর অবস্থায় তিনি নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের কৃষি অর্থনীতি বিভাগে লেকচারার হিসেবে যোগ দেন। পরে ২০১১ সালে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করতে জার্মানীতে বন বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ভন ব্রাউনের অধীনে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। তার গবেষণার শিরোনাম ছিল ‘সমন্বিত কৃষি ও মাছচাষ’: দরিদ্র মানুষের উপর নতুনত্ব প্রযুক্তির প্রভাব। এই গবেষণার জন্য তিনি ইউরোপিয়ান সাইন্স এওয়্যার্ড-২০১৬ লাভ করেন। এছাড়াও তিনি মাস্টার্সের জন্য ১ টি ও স্নাতকের জন্য ২টি বই রচনা করেন। বর্তমানে তিনি বাকৃবির কৃষি অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

মেধার স্বীকৃতিস্বরুপ বিভিন্ন সময়ে অর্জন করেছেন বিভিন্ন স্কলারশীপ, মেডেল ও সনদপত্র। মার্স্টাসে গবেষণার জন্য এনএসটি ফেলোশীপ, স্নাতক চতুর্থ বর্ষে থাকা অবস্থায় ইউজিসি মেরিট স্কলারশীপ, স্নাতকে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক, সকল অনুষদের মধ্যে কৃতিত্ত্বপূর্ণ সাফল্যর জন্য প্রফেসর লুৎফুর রহমান মেমোরিয়াল এওয়্যার্ড, শামসুল ইসলাম মেমোরিয়াল গোল্ড মেডেলসহ দেশের ও বিদেশের অনেক পুরস্কারপ্রাপ্ত হন।

শুধু পড়াশোনাতেই সেরা নন তিনি। ছাত্রদের শিক্ষা দানের পাশাপাশি সামাজিক, সাংস্কৃতিক অঙ্গনে পৃষ্ঠপোষকতায় রয়েছে তাঁর সমান পদচারণা। তিনি ছাত্রজীবনে স্বেচ্ছায় রক্তদানকারী সংগঠন বাঁধনের সক্রিয় কর্মী ছিলেন।এছাড়াও তিনি দুই বছর আবাসিক শাহজালাল ও শহীদ নাজমুল আহ্সান হলের হাউস টিউটরের দায়িত্ব পালন করছেন। শিক্ষার্থীদের মাঝেও রয়েছে তাঁর জনপ্রিয়তা। তাঁর অমায়িক ব্যবহার সবাইকে সহজে আপন করে নেওয়ার যোগ্যতাই হয়তো এর মূল কারণ।

(এমএসএস/এএস/নভেম্বর ০৫, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

০৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test